উত্তর-পূর্ব ভারতে সুবনসিঁড়ি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প শুরুর উদ্যোগ

গতি পাচ্ছে ভারতের ২০০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিঁড়ি লোয়ার হাইডেল পাওয়ার প্রজেক্ট। বহুদিন আগেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কারণে থমকে দাঁড়িয়েছে নির্মাণকাজ। কিন্তু গতকাল সোমবার দিল্লিতে আসাম ও অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ভারত সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী কথা দিয়ে এসেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত কাজ শেষ করার বিষয়ে তাঁরা যৌথভাবে উদ্যোগ নেবেন।

সুবনসিঁড়ি নদীর ওপর আসামের ধেমাজি জেলার গোরুখামুখ এবং অরুণাচলের লোয়ার সুবনসিঁড়িতে। অনেক টালবাহানার পর ২০১৬ সালে ভারত সরকারেরই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন বা এনএইচপিসি এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পেয়েছে। ২০১৮ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এবারও স্থানীয় লোকজনের বিক্ষোভ এবং জমি নিয়ে জটিলতার কারণে স্বপ্নের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রূপায়ণ গতিহীনতায় ভুগছে।
নদীগর্ভ থেকে ১১৬ মিটার উঁচু এবং ২৮৪ মিটার লম্বা এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বাঁধ নির্মিত হলে সরকারি হিসাবে ৩৮ পরিবার উচ্ছেদ হবে। বহু জমি চলে যাবে জলের তলায়। কৃষকদের জমি হারানোর ভয় রয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে বলে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা। প্রকল্পের অধীনে জলাধার নির্মিত হবে ১ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার। ১ হাজার ২০০ কোটি রুপির এ প্রকল্পকে ঘিরে তাই বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। থমকে যাচ্ছে নির্মাণকাজ।
এ অবস্থায় সোমবার ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী পীষূয গোয়েল আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে পেমা খান্ডু সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কথা দিয়েছেন, দ্রুতগতিতে সুবনসিঁড়ি প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিষয়ে বাড়তি উদ্যোগ নেবেন। প্রকল্পের গতি আনতে উভয় রাজ্যই এগিয়ে আসবে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, প্রকল্প রূপায়িত হলে উভয় রাজ্যেই বেকারদের কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাবে। একই সঙ্গে পেমা জানান, অরুণাচলের বেশ কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রূপায়ণেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।