কলকাতায় ইয়াসের ধাক্কা জোরালো হবে না

ইয়াসের প্রভাবে আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। ২৫ মে, বিবাদীবাগ, কলকাতাছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানলেও রাজধানী কলকাতায় এটির ধাক্কা অতটা জোরালো হবে না। কলকাতার আবহাওয়া দপ্তর বলছে, রাজধানীতে ঝড়ের গতি হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার।

কলকাতার আবহাওয়া দপ্তর আশ্বস্ত করেছে, ইয়াস রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালালেও কলকাতায় প্রভাব কম ফেলবে। পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘাসহ উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৪৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্যান্য জেলায় এই গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনে ইয়াস চলে যাবে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের দিকে।

কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে; পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ১৫ মে, বিবাদীবাগ, কলকাতা
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

এদিকে ইয়াসের প্রভাবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুরা, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দার্জিলিং ও কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে; পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

কলকাতা আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ইয়াসের তীব্রতা এবার সর্বাধিক হবে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে। ইতিমধ্যে এসব এলাকার রক্ষাকারী বাঁধ ভেঙে গেছে, বহু গ্রাম তলিয়ে গেছে জলোচ্ছ্বাসে।

আজ রাতে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে অবস্থান করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ইয়াসকে মোকাবিলা করার জন্য রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ব্লকে ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নবান্নে খোলা হয়েছে প্রধান কন্ট্রোল রুম। খোলা হয়েছে ৪ হাজার ত্রাণকেন্দ্র। ৯ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে ২ লাখ পুলিশ কর্মীসহ ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে।

কলকাতার আবহাওয়া দপ্তর বলছে, রাজধানীতে ঝড়ের গতি হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। ২৫ মে, গড়িয়াহাট,কলকাতা
ছবি: প্রথম আলো

প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফকে।

গোটা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। জেলেদের অবিলম্বে মাছ ধরা বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের জন্য সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।