কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছে বিক্ষোভ, হিন্দু সংহতির ৯৪ নেতা-কর্মী আটক

কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্রছাত্রী ফেডারেশন বা পিডিএসএফের পথনাটিকাছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছে বিক্ষোভের সময় হিন্দু সংহতি নামের এক সংগঠনের ৯৪ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলা, মূর্তি ভাঙচুর এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি ও দোকানপাটে হামলার ঘটনায় উপহাইকমিশনের কাছে আজ বুধবার এ বিক্ষোভ হয়। এর আয়োজক ছিল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্রছাত্রী ফেডারেশন বা পিডিএসএফ ও হিন্দু সংহতি।

আজ দুপুরে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী হিন্দু সংহতি নামের সংগঠন কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। সেই লক্ষ্যে হিন্দু সংহতির পৃথক দুটি মিছিল উপহাইকমিশনের দিকে এগোনোর উদ্যোগ নেয়। একটি মিছিলের অংশগ্রহণকারীরা শিয়ালদহ স্টেশনে এসে কলকাতার বেকবাগানে উপহাইকমিশনের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ শিয়ালদহ স্টেশনেই তাদের আটক করে। তারপর তাদের কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজারে নিয়ে যায়। এখানে আটক করা হয় ৪৩ জনকে। অন্যদিকে দ্বিতীয় মিছিলটি বেকবাগান থেকে উপহাইকমিশন দপ্তরের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের বেকবাগানেই আটকে দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ ৫১ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে আজ বিকেলে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্রছাত্রী ফেডারেশন বা পিডিএসএফ বাংলাদেশ উপহাইকমিশন অভিযানের ডাক দিলেও পুলিশ তাদের আটকে দেয় বেকবাগান মোড়ে। এরপরে এখানে পিডিএসএফ একটি পথনাটিকা মঞ্চস্থ করে। ওই পথনাটিকায় উঠে আসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নানা খণ্ডচিত্র। এরপর পিডিএসএফের একটি প্রতিনিধিদল উপহাইকমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়। সেখানে তারা অবিলম্বে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করার দাবি করে।