কলকাতায় মুজিবনগর দিবস পালিত

মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে কলকাতার উপহাইকমিশনের কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হলো কলকাতায়। আজ রোববার কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।

আজ সকালে উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর উপহাইকমিশন চত্বরের মুজিব চিরন্তন মঞ্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর উপহাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য চিত্র ‘মুজিবনগর বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’।

এরপরই শুরু হয় মুজিবনগর দিবসকে স্মরণে রেখে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। মূল আলোচনায় অংশ নেন কলকাতার প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত। তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের শুরুর প্রথম দিনের নানা স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। ওই দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগরে। তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। মুজিবনগরের বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম, ভারত সরকারের বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে এসে দাঁড়ানো, ভারত সরকারের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা তুলে ধরেন সুখরঞ্জন।

মুজিবনগর দিবসে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস পতাকা উত্তোলন করেন
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

সভাপতির ভাষণে উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস তুলে ধরেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার দেশ স্বাধীন করার নানা অবদানের কথা।

প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেন
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো ক্ষণজন্মা মানুষটির জন্ম না হলে বিশ্বের বাঙালিরা একটি নিজস্ব স্বাধীন দেশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতো। আজ আমরা সেই মহান মানুষটির স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে দেশসেবায় ব্রতী হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর প্রেরণায় সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমরা দেশসেবায় এগিয়ে চলেছি। এটাই হবে আমাদের আজকের দৃঢ় প্রত্যয় ও অঙ্গীকার।’

আলোচনা শেষে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ হওয়া লাখো মানুষের আত্মার শান্তি কামনার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।