কাশ্মীরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ১৭ সেপ্টেম্বর, শ্রীনগরে
ছবি: রয়টার্স

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন সন্দেহভাজন বিদ্রোহী ও এক তরুণী নিহত হওয়ার জেরে বৃহস্পতিবার ওই সংঘর্ষ হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে শ্রীনগরের বাতামালু এলাকায় অভিযান চালান পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। তাঁদের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকার একটি বাড়িতে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা লুকিয়ে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে পৌঁছানোর পর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী ওই বন্দুকযুদ্ধে তিন সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত হন। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, দুই পক্ষের গুলির মধ্যে পড়ে এক তরুণীও নিহত হন সে সময়।

চারজন নিহত হওয়ার ওই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় লোকজন। বৃহস্পতিবার তাঁরা সড়কে নেমে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট–পাথর ছুড়ে মারেন। বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়েন। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় তাৎক্ষণিক হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।

পুলিশের মহাপরিচালক দিলবার সিং বলেন, ওই নারীর মৃত্যু দুঃখজনক। তিনি উভয় পক্ষের গুলির মধ্যে পড়ে যান। তিনি বলেন, গোলাগুলির ওই ঘটনায় আধা সামরিক বাহিনীর এক সদস্য আহত হয়েছেন।

এর এক দিন আগে উত্তর-পূর্ব কাশ্মীরের সোপোর শহরে বিক্ষোভ হয়। সেখানে পুলিশের হাতে আটক ইরফান আহমেদ দার নামের ২৬ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, পুলিশের নির্যাতনে নিহত হওয়ার পর ইরফানের মরদেহ খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সেই এলাকায়ও জনগণ বিক্ষোভ করেন।

ইরফানের ব্যাপারে পুলিশের দাবি, তিনি ভারতবিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীর সহযোগী ছিলেন। তাঁকে হাজতখানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এর আগে বিদ্রোহীদের সঙ্গে শ্রীনগরে সর্বশেষ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে গত জুনে। ওই সময় স্থানীয় তিন বিদ্রোহী নিহত হন। সে সময় সেখানে ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।