কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ত্রিপুরায় পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত

নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ত্রিপুরায় এসে পৌঁছান আগেই
ছবি: এএনআই

কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তর–পূর্ব ভারতের বাঙালি অধ্যুষিত ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ২০টি পৌরসভার ২২২টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ত্রিপুরার রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই রাজ্যের পৌরসভার নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

ত্রিপুরায় বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বিজেপি এই পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে প্রচারে বাধা দিয়ে আসছিল। সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিজেপি তৃণমূলের বেশ কয়েকটি প্রচার মিছিল ও নির্বাচনী প্রচার সভা। বিজেপির হামলা প্রতিরোধ করে আজ তৃণমূল ত্রিপুরা পৌরসভার নির্বাচনে অংশ নেয়।

নির্বাচনে আগেই অবশ্য ৭টি পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় বিজেপি। এই ২০টি পৌর অঞ্চলের মধ্যে ১৩টি রয়েছে পৌরসভা, ৬টি নগর পঞ্চায়েত এবং আগরতলা পৌর করপোরেশন।

আজ ৬৪৪টি ভোটকেন্দ্র বা বুথের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ৩৭০টি কেন্দ্রকে অতি স্পর্শকাতর ও ২৭৪টি কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করে।

তবে আগরতলা করপোরেশনের ৫১টি ওয়ার্ডকেই অতি স্পর্শকাতার ভোটকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পৌরসভা নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য রাজ্যে নিয়োগ করা হয় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সিআরপিএফকে। এ ছাড়া রয়েছে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানরা। আগরতলা পৌর করপোরেশনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৫ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যকে নিয়োগ করা হয়। আর অন্যান্য পৌরসভায় নিয়োগ করা হয় ৪ জন করে। এদের সঙ্গে ছিল ত্রিপুরা পুলিশও।

ত্রিপুরা পৌরসভা নির্বাচনে ২২২টি ওয়ার্ডে আজ লড়েছেন ৭৮৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে বিজেপির রয়েছে ২২২ জন, সিপিএমের ১৯৭ জন, তৃণমূলের ১২০ জন আর কংগ্রেসের রয়েছে ৯২ জন। তবে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস আগরতলা পৌর করপোরেশনের ৫১টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছে।