গাড়িগুলো ছিল নেতাজি-কবি নজরুল-হেমন্তের

গাড়িগুলো ব্যবহার করতেন যাঁরা, তাঁরা সবাই ইতিহাসের পাতাজুড়ে আছেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন, কবি নজরুল ইসলম। এসব মানুষের ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে আজ রোববার কলকাতায় হলো শোভাযাত্রা। এর নামে দেওয়া হয় ‘কলকাতা ভিনটেজ অ্যান্ড ক্ল্যাসিক কার র্যালি’। এখানে ১৯১৩ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত ৫০টি গাড়ি স্থান পায়। শোভাযাত্রার আয়োজক কলকাতার ‘অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’।
সকালে এই শোভাযাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর এলাকার সন্তোষপুরের ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন ক্লাব থেকে। এর উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র, সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার সম্বরণ ব্যানার্জি, অভিনেতা শংকর চক্রবর্তী। শোভাযাত্রা শুরু হয়ে অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার অফিস ঘুরে ফের শেষ হয় ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন ক্লাবেই।
শোভাযাত্রায় কবি নজরুলের ব্যবহৃত ১৯৩২ সালের বেবি অস্টিন গাড়িটিও ছিল। এটি নজরুল কিনেছিলেন ১৯৩৯ সালে। কবি নজরুল কলকাতার হরি ঘোষ স্ট্রিটে থাকাকালে এই গাড়ি ব্যবহার করতেন। আজকের এই মোটর শোভাযাত্রায় কবি নজরুলের পুত্র কাজী অনিরুদ্ধের মেয়ে মিষ্টি কাজীসহ পরিবারের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের শোভাযাত্রায় ছিল লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ব্যবহৃত ফোর্ড ভি-৮ (১৯৩৯) গাড়ি, প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত গাড়ি, নেতাজির গড়া ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) ব্যবহৃত গাড়িটিও। আইএনএর গাড়িটি যাতায়াত করত সাবেক বিহার ও বর্তমানের ঝাড়খন্ড রাজ্যের সীমান্ত এলাকা গোমো স্টেশন হয়ে সুদূর মিয়ানমার পর্যন্ত। এ ছাড়া যোগ দিয়েছে আরও বেশ কজন বিশিষ্টজনের ব্যবহৃত গাড়ি।
যোগ দেওয়া গাড়ির মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে ফোর্ড ভি-৮ (১৯৩৯), মার্সিডিস (১৯৩০), ক্যাডিলাক (১৯৫০), বুইক (১৯৪৯), জাগুয়ার (১৯৩০), সেভ্রোলেট(১৯৪৭), ডজ (১৯৫০) প্রভৃতি গাড়ি। আরও যোগ দিয়েছে সাম্প্রতিক কালের মূল্যবান গাড়ি—জার্মানির লম্বারঘিনি।

আয়োজক সংস্থা অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার আগের নাম ছিল অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল।