চুল কেটে বিপাকে নরসুন্দর

প্রতীকী ছবি
এএফপি

লম্বা ও সুন্দর চুলের জন্য মডেলিং জগতে বেশ নামডাক ছিল তাঁর। কাজ করতেন চুলের নানান পণ্যের মডেল হিসেবে। তবে মুহূর্তেই বদলে যায় সব। নরসুন্দরের ভুলে লম্বা চুল হারিয়ে ভীষণ মুষড়ে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে কাজ হারান। এরপর রাগের মাথায় ওই সেলুনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। অবশেষে আদালত মডেলের পক্ষেই রায় দিয়ে সেলুনটিকে জরিমানা করেছেন। ভুলভাল চুল কেটে সেলুনটিকে গুনতে হয়েছে দুই কোটি রুপি জরিমানা।

ঘটনাটি ২০১৮ সালের। ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি নামী হোটেলের সেলুনে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সেলুনে চুল কাটাতে গিয়েছিলেন খ্যাতনামা এক মডেল। তবে তাঁর নাম–পরিচয় প্রকাশ করেনি ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তিনি লম্বা চুলগুলো সামান্য একটু কাটতে চেয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। তবে নরসুন্দর মুহূর্তেই তাঁর লম্বা চুলের বেশির ভাগ কেটে ফেলেন।

চুলের সৌন্দর্য হারিয়ে ভীষণ মুষড়ে পড়েন ওই মডেল। আয়না দেখা বাদ দেন। চুল ছোট হওয়ায় কাজে মনোযোগ দিতে পারছিলেন না। একের পর এক কাজ হারাতে শুরু করেন তিনি। কমে যায় আয়। একপর্যায়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। প্রায় দুই বছর তিনি এ অবসাদ বয়ে বেড়িয়েছেন। আদালতে ওই মডেল জানান, ভুল করার পর সেলুন কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেনি। এর পরিবর্তে বিনা মূল্যে চুল ঠিক করার সেবা নেওয়ার প্রস্তাব দেয় তারা। ওই সেবা নেওয়ার পর তাঁর চুল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ ঘটনায় ভারতের ন্যাশনাল কনজ্যুমার রিড্রেসাল কমিশনে (এনসিডিআরসি) মামলা ঠুকে দেন ওই মডেল। সম্প্রতি এ মামলার রায়ে কমিশন বলেন, ওই ঘটনায় ওই মডেল কাজ হারিয়ে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েন। তাঁর পেশাগত জীবনে শীর্ষে ওঠার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। এ ঘটনা তাঁর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। কাজ হারানোয় কমে

যায় তাঁর আয়ও। পুরোপুরি বদলে যায় তাঁর জীবনযাত্রা। এর দায় নিতে হবে সেলুন কর্তৃপক্ষকে। তাই নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভুলভাল চুল কাটায় ওই সেলুনকে দুই কোটি রুপি জরিমানা করা হয়।