ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে বলি হবে ১০৮টি পাঁঠা

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কালীমূর্তি। ছবি: দেবাশিস রায়
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কালীমূর্তি। ছবি: দেবাশিস রায়

ভারতের ত্রিপুরায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির আলোকসজ্জায় ঝলমল। রাজ্যের হিন্দুদের কাছে ত্রিপুরেশ্বরী পীঠ বা সিদ্ধস্থান। এবারই প্রথম ট্রেনে চেপে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই মন্দিরে আসতে পারবেন। তাই ভিড় অন্যবারের রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক মাধব সাহা।

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের পুজোর পুরো ব্যবস্থাটাই হয় সরকারি উদ্যোগে। রাজ্য সরকারের তরফে গোমতী জেলার জেলা শাসক পদাধিকার বলে মন্দিরের সেবাইত। সরকারি এই পুজোয় জোড়া মহিষ বলি দেওয়া হয়; সঙ্গে বলি হয় ১০৮টি পাঁঠাও। সরকারি উদ্যোগে এই বলি ছাড়াও পুণ্যার্থীরা আলাদাভাবে অসংখ্য পাঁঠা বলি দেন।

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের পাশেই ভুবনেশ্বরী মন্দির। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই মন্দিরের বলিপ্রথার নিন্দা করে লিখেছিলেন ‘বিসর্জন’ নাটক। তবু বলি চলছে। রাজ আমলের প্রথা মেনে ত্রিপুরার কমিউনিস্ট সরকারও বলির বন্দোবস্তে কোনো ত্রুটি রাখছে না।

পুজো উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে দীপ উৎসবের। বসছে বিশাল মেলা। চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

উৎসবকে নির্বিঘ্নে পালন করতে দুই হাজার সাদা পুলিশ মোতায়েন থাকছে। থাকছে ৩০টি সিসি ক্যামেরা। লেজার লাইটে উদ্ভাসিত মন্দির চত্বরে সারা রাত ধরে দর্শনার্থীরা পুজো উপভোগ করবেন।

রাজ্য পুলিশের ডিআইজি উত্তম মজুমদার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চলতি বছর দুর্গাপুজোয় প্রচুর বাংলাদেশি ত্রিপুরায় প্রতিমা দর্শনে এসেছিলেন। অভিবাসন দপ্তর সূত্রে খবর, নবমীর দিন ১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল শুধু আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আসা বাংলাদেশির সংখ্যা। কালীপুজো উপলক্ষে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির ও মেলা দেখতে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ থেকে এবারও বহু মানুষ আসবেন বলে উদ্যোক্তাদের আশা।