দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চালুর খবরে পশ্চিমবঙ্গে উচ্ছ্বাস

বন্ধন এক্সপ্রেস ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর প্রথম যাত্রা শুরু করে
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।

বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচল আবার শুরু হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ ২৬ মাস বন্ধ আছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। আবারও দুই দেশের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ চালু হওয়ার খবরে পশ্চিমবঙ্গে উচ্ছ্বাসের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে চলাচল করবে তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন—মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালী এক্সপ্রেস। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় দুই দেশের সরকার তিনটি ট্রেন আবার চলাচল শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে।

২৯ মে থেকে চালু হবে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস। করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়েছিল এই রুটে ট্রেন চলাচল। উদ্বোধনের দিন ২৯ মে সকালে ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে মৈত্রী এক্সপ্রেস। আর কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশে ওই দিন সকালেই ছেড়ে যাবে বন্ধন এক্সপ্রেস। আর ১ জুন নিউজলপাইগুড়ি থেকে প্রথমবারের মতো ঢাকার পথে শুরু হবে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা।

এদিকে এই তিন যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলের খবর ছড়িয়ে পড়লে কলকাতা থেকে শুরু করে একেবারে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের কোচবিহার, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়িতে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেন চালু হলে কলকাতা থেকে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা যেমন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে পারবেন, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের পর্যটকদের পাশাপাশি রোগীরা সহজেই পশ্চিমবঙ্গে যেতে পারবেন।

এসব ট্রেনে করে কলকাতার যাত্রীরা যেমন সহজে খুলনা ও ঢাকা যেতে পারবেন, তেমনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরাও সহজে পাড়ি জমাতে পারবেন বাংলাদেশে। আবার সেখান থেকে সহজে আসতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গে। একই সঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা ট্রেন চালু হলে বাংলাদেশের পর্যটকেরা এবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে বিভিন্ন পরিবহনে সরাসরি শৈল শহর দার্জিলিংয়ে যেতে পারবেন।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন চালু হয়। চলাচল করে ঢাকা-কলকাতা রুটে। রেলপথে কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার। মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে গেদে-দর্শনা হয়ে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছে।

আরও পড়ুন

দ্বিতীয় ট্রেনটি হলো বন্ধন এক্সপ্রেস। এই ট্রেন কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে খুলনায় পৌঁছে। এই রুটের দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। ট্রেনটি চালু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর।

আর তৃতীয় ট্রেনটি হলো মিতালী এক্সপ্রেস। যাত্রীবাহী ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছেড়ে চিলমারী সীমান্ত হয়ে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছায়। রেলপথে এর দূরত্ব ৫২৪ কিলোমিটার। এটি উদ্বোধন করা হয় গত বছর বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসের এক দিন পর ২৭ মার্চ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও করোনার কারণে ট্রেনটির যাত্রা বন্ধ ছিল।