নদীতে গরু-মহিষের মৃতদেহ, উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে উত্তাপ

প্রতীকী ছবি

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে গঙ্গা ও কালী নদীর সংগমস্থলে ৩৭টি গবাদিপশুর মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে। এর মধ্যে ২০টি মহিষ ও ১৭টি গরু। খবর পিটিআইয়ের। রাজ্যের নির্বাচনের আগে এতগুলো গবাদিপশুর মৃতদেহ পাওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান–উতোর শুরু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের কন্নৌজ জেলার নদীতে গবাদিপশুর এসব মৃতদেহ পাওয়া গেছে। কন্নৌজের জেলা শাসক (ডিএম) রাকেশ কুমার মিশ্র প্রধান পশুসম্পদ কর্মকর্তার প্রতিবেদন তুলে ধরে এ সম্পর্কে বলেছেন, গত শুক্রবার নদীর সংগমস্থলে ৩৭টি গবাদিপশুর মৃত দেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মহিষ ও বাকিগুলো গরু।

কন্নৌজ সহকারী জেলা শাসক উমাকান্ত তিওয়ারি অবশ্য দাবি করেছেন, ওই জেলায় এতগুলো গবাদিপশুর মৃত্যুর কোনো খবর তাঁর কাছে নেই। তাঁর কথা, এসব পশু সম্ভবত অন্য কোনো এলাকা থেকে ভেসে এসেছে। পরে গবাদিপশুগুলোর দেহ জল থেকে তুলে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

গত জানুয়ারি মাসে ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি গোশালায় একাধিক গরুর মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছিল। টাইমস নাউ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রদেশের বিরাসিয়া জেলায় এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের কংগ্রেস দলীয় রাজ্যসভার সদস্য দিগ্বিজয় সিংহ অভিযোগ করেন, অন্তত ৫০০ গরু মারা যায়। তিনি অভিযোগ করেন, এ গোশালার বিজেপিদলীয় মালিকের গরুর চামড়া ও হাড়ের ব্যবসা আছে। বিষয়টি অনুসন্ধানের দাবি করেন তিনি। এ বিতর্ক সে সময় চাপা দেয় ওই রাজ্যের বিজেপি সরকার। ধর্মীয় জিগির তুলে যত্রতত্র গোশালা গড়ে তোলা এবং সেখানে গবাদিপশুর দেখভাল না করাতেই এসব মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ আছে। আর এ উদ্যোগে এগিয়ে আছেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য। এ রাজ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে রাজ্যে এতগুলো গবাদিপশুর মৃত্যু রাজনৈতিক আলোচনা উসকে দিয়েছে।

১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া উত্তর প্রদেশের নির্বাচন সাত দফায় চলার পর শেষ হবে ৭ মার্চ। ফল ঘোষণা ১০ মার্চ।