পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির স্যানিটাইজেশনের দরকার: রাজ্যপাল

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
ছবি : ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছেন, এ রাজ্যের রাজনীতির স্যানিটাইজেশনের দরকার।  
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এরই মধ্যে এমন তির্যক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল ধনকড়।
ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ছিল গতকাল শুক্রবার। রাজ্যপাল গতকাল যোগ দেন কলকাতার অদূরে বারাকপুরের গান্ধিঘাটে জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে   ধনকড়  বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদিকে বলতে চাই, রাজভবন কারও দয়ায় চলে না। এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। আপনি রোজ বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ করার জন্য রাজ্যের কোষাগার খুলে দিয়েছেন। অথচ রাজভবনের বরাদ্দ আটকে দিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় অর্থ ও কর্মী দিয়ে সাহায্য করছেন না।’

ধনকড় বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদিকে বলতে চাই, রাজভবন কারও দয়ায় চলে না। এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। আপনি রোজ বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ করার জন্য রাজ্যের কোষাগার খুলে দিয়েছেন। অথচ রাজভবনের বরাদ্দ আটকে দিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় অর্থ ও কর্মী দিয়ে সাহায্য করছেন না।’

রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজভবনকে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এভাবে রাজ্যের সাংবিধানিক পদকে দুর্বল করা যাবে না।’
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সঙ্গে মমতা সরকারের সংঘাত চরমে উঠেছে। কয়েক দিন একে অপরের তীব্র সমালোচনা করে চিঠিও লেখেন।
রাজ্যপাল ধনকড় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘এখনতো পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসা আর হানাহানি চলছে। বোমার কারখানা হয়ে উঠছে গোটা রাজ্য। অবিলম্বে এই রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ করতে হবে। তাই দরকার রাজ্যের রাজনীতির স্যানিটাইজেশন।’ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আরও বলেছেন, ‘গান্ধীজি অহিংসার কথা বলেছেন। আমাদের গান্ধীজির সেই অহিংসার বাণীকে ভুলে গেলে চলবে না। তাঁর পথেই আজ এই রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরতে পারে।’

পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্র বসু বলেন, ‘তিনি তো রাজ্যপাল নন, উনি নৈরাজ্যপাল।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। রাজ্যপালের সামনেই একহাত নিয়ে বলেন, ‘উনিতো রাজ্যপাল নন, উনি নৈরাজ্যপাল।’ তিনি বলেন, রাজ্যপাল অনৈতিক কথা বলেছেন, রাজ্যপালতো আর উত্তর প্রদেশের হাতরাসের আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণের কথাতো বললেন না। উনিতে রাজ্যপালের ভাষাতেও কথা বলেন না। কথা বলেন বিজেপির ভাষায়। তাইতো ওনার নামের আগে ‘নৈ’ বসলে ভুল হবে না।