পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

ভারতের তিন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যগুলো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা ও দিল্লি। করোনাসংক্রান্ত ভারতের টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ভি কে পল গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, ভারতের দু-তিনটি রাজ্য ছাড়া অন্য রাজ্যগুলোতে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী। তিনটি রাজ্য এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে করোনা প্রতিরোধে আনলক-৫–এর মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআরের মহাপরিচালক বলরাম ভার্গব বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে দূষণের শিকার হলে করোনায় মৃত্যুর হার বাড়তে পারে। এ তালিকায় দিল্লির নাম আছে। ভারতের বড় শহরগুলোতে শীতকালে দূষণের পরিমাণ বাড়তে পারে। শীত মৌসুমে ভারতে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যেতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনার সংক্রমণের হার কমে ৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নœঅবস্থানে রয়েছে। গতকাল ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৩৭০।

মৃতের সংখ্যা ৪৮৮। সেপ্টেম্বরে ভারতে দৈনিক গড় সংক্রমণ সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার।
পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হারও বেড়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে গতকাল সন্ধ্যায় জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ১২১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৯১৭ জন। মারা গেছেন ৫৯ জন। এর মধ্যে কলকাতায় ১৪ ও উত্তর চব্বিশ পরগনায় ১৫ জন মারা গেছেন।

পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৮২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৮৬ জন। রাজ্যে মারা গেছেন ৬ হাজার ৫৪৬ জন।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে কলকাতায় ৮৮৪ জন। এরপর উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৮৭৫ জন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ২৪৯, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৮২, হুগলিতে ১৭৪ ও নদীয়া জেলায় ১৭১ জন।

পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যে। রাজ্য সরকার সতর্ক করে আগেই বলেছিল, দুর্গাপূজার কারণে বাড়তে পারে সংক্রমণের হার। কলকাতা হাইকোর্ট এবার প্রতিমা দর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবে নিষেধাজ্ঞা সবখানে মানা হয়নি।