পশ্চিমবঙ্গে গন্ডারদের জন্য তৃতীয় অভয়ারণ্য হচ্ছে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়া হলো গন্ডারদের অভয়ারণ্য। রাজ্যটির উত্তরবঙ্গের এই অভয়ারণ্যের একদিকে গরুমারা, অন্যদিকে চিলাপাতা। এরই মধ্যেই রয়েছে গন্ডারদের অভয়ারণ্য। এখানে রয়েছে দুই শতাধিক গন্ডার। তবে এই অভয়ারণ্যে গন্ডারের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এদের বিচরণক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তর গন্ডারদের স্বাধীনভাবে বিচরণ ও বসবাসের জন্য তৈরি করছে তৃতীয় আরেকটি অভয়ারণ্য। এটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কোচবিহার জেলার পাতলাখাওয়া বন এলাকায়।
এই পাতলাখাওয়া জঙ্গলে একসময় শিকারের জন্য আসতেন কোচবিহারের রাজপরিবারের সদস্যরা। এই জঙ্গলে রয়েছে রসমতী লেক। শীত মৌসুমে এই লেকে ভিড় জমাত পরিযায়ী পাখিরা। আর সবুজে ঘেরা শাল-মেহগনি-দেবদারুবেষ্টিত জঙ্গলের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তোর্সা নদী। এই এলাকায় এবার গন্ডারদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে তৃতীয় অভয়ারণ্য।
এক বন কর্মকর্তা বলেছেন, এই জঙ্গল এত দিন জঙ্গল হিসেই বেড়ে উঠেছে। এবার এখানে তৈরি করা হচ্ছে গন্ডারদের অভয়ারণ্য। গরুমারা আর জলদাপাড়া রেঞ্জে এখন দুই শতাধিক গন্ডারের বাস। এর বেশির ভাগ একশৃঙ্গী গন্ডার। তাই গন্ডারের বংশবৃদ্ধিতে তৃতীয় অভয়ারণ্য তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ২৫ লাখ রুপি প্রথম কিস্তিতে বরাদ্দ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেছেন, এখানকার বনে বন্য প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকার তৃতীয় অভয়ারণ্য তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে এখনো বিচরণ করছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হাতি, গন্ডারসহ অন্যান্য প্রাণী। পাতলাখাওয়ার তৃতীয় অভয়ারণ্যে শুধু যে গন্ডারের বিচরণক্ষেত্র থাকবে তা নয়, এখানেও বাঘ ও হাতি বসবাসের উপযোগী করে তোলা হবে। তবে বেশি থাকবে গন্ডার।