পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীদের বিজয় ঘোষণার ওপর স্থগিতাদেশের সময় বাড়ল

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ওই দিন ৩৪ শতাংশ আসনে নির্বাচন বাকি ছিল। সেদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬৬ শতাংশ আসনে। নির্বাচনের আগে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তাণ্ডবের মুখে ৩৪ শতাংশ আসনে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।

ফলে ওই ৩৪ শতাংশ আসনের তৃণমূল প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হলে এর বিরুদ্ধে বিজেপি, বামদল ও কংগ্রেস ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট শুনানি শেষে ৩৪ শতাংশ আসনে জয়ী প্রার্থীদের গেজেট নোটিফিকেশনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।

এ সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আদেশ দেন। সে অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ, বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়-এর সমন্বয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গঠিত হয়। বেঞ্চটি আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে ৩৪ শতাংশ আসনে জয়ী প্রার্থীদের গেজেট নোটিফিকেশনের ওপর স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বহাল রেখেছে। এই সময়ের মধ্যে কারও কোনো আবেদন থাকলে তা আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে। এতে ৩৪ শতাংশ আসনে বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা হতাশ হয়েছেন। তাঁরা মনে করছিলেন, আজ হয়তো তাঁদের ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হবে।

এবার এই রাজ্যের ত্রিস্তর পর্যায়ের গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৮ হাজার ৬৫০টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ২১৭টি আসন এবং জেলা পরিষদের ৮২৫টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর দেখা যায়, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস জেলা পরিষদের ২০৩টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৩ হাজার ৫৯টি আসন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ হাজার ৮১৪টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে নিয়েছে। শুধু কি তাই, বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসক দল তৃণমূল। ফলে এবার নির্বাচন হয়েছে জেলা পরিষদের ৬২২টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৬ হাজার ১৫৮টি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ হাজার ৮৩৬টি আসনে। ভোট অনুষ্ঠিত হয় গত ১৪ মে। আর ফল ঘোষণা করা হয় ১৭ মে।