পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি কিশোরীকে ধর্ষণ: দুজনের ২০ বছরের সাজা

আদালত
প্রতীকী ছবি

চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুজনকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন স্থানীয় একটি আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের এক লাখ রুপি অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ শান্তনু মুখোপাধ্যায় এ রায় ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন শরিফুল মল্লিক ও মহসিন বিশ্বাস। তাঁদের বাড়ি বাগদা থানা এলাকায়। দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাগদা থানার পুলিশ। তাঁরা কারাগারেই ছিলেন।

রায়ে বলা হয়েছে, অর্থদণ্ডের অর্ধেক টাকা নির্যাতনের শিকার কিশোরী দিতে হবে। বাকি অর্ধেক টাকা জমা হবে সরকারের কোষাগারে।

আসামিদের আইনজীবী সঞ্জয় দাস রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারপক্ষের আইনজীবী অশোক প্রামাণিক বলেন, বিচারক সবকিছু খতিয়ে দেখে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দুই দোষীকে যথার্থ সাজা দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাগদায় নেওয়া হয় ওই কিশোরীকে। পরে হরিহরপুর গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর তাঁকে ফেলে রেখে যান দুই আসামি।

এরপর স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বাগদা থানায় খবর দেন। পুলিশ নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এরপর ওই কিশোরীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁদের আসামি করে মামলা করা হয়।