পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি

ভারতের সংসদ বা লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে। অন্যদিকে বিভিন্ন পৌরসভা ও পঞ্চায়েতসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হয় প্রতিটি রাজ্যের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে। আর এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

তবে পৌরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচন যেহেতু রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে অনুষ্ঠিত হয়, সেহেতু এই নির্বাচনে শাসক দল ভোটে জেতার লক্ষ্যে বিভিন্ন কারচুপির পথ বেছে নেয়। জাল ভোট থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্রের ভোটযন্ত্র ছিনতাইসহ নানা কৌশলের আশ্রয় নেয়। গত বছর কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভার নির্বাচনেও অভিযোগ উঠেছে ভোট নিয়ে ব্যাপক কারচুপির। তাই এবারের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এই নির্বাচনে মোতায়েন করা হচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী যাতে ভুয়া ভোটার জাল ভোট দিতে না পারে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এবারের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন ছয় দফায় অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। গত বছরও ছয় দফায় নির্বাচন হয়েছিল। এই লক্ষ্যে এবার পশ্চিমবঙ্গে ৭৫ হাজার আধা সেনা নিয়োগ করছে নির্বাচন কমিশন। ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার ৮০০। আবার এবার এই নির্বাচনে ২৬ হাজার রাজ্য পুলিশ নিয়োগ করা হচ্ছে। গত নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৭৬০। এবার নির্বাচনের দিন প্রতিটি বুথে কমপক্ষে চারজন আধা সেনা থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে পুলিশ। বুথের মধ্যে ভোটার ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কলকাতার গণমাধ্যমে আজ শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, এবার আর কারও মুখ থেকে শোনা যাবে না তাঁর ভোট হয়ে গেছে। অর্থাৎ ভোটাররা নিশ্চিতভাবেই ভোট দিতে পারবেন। গত নির্বাচনেও এইভাবে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রসহ স্ট্রং রুম সর্বত্রই থাকবে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বা সেনা বাহিনীর সদস্যরা। ভোট কেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভিও।