পাঞ্জাব বিধানসভার ভোট ৬ দিন পেছাল

বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পাঞ্জাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছে
ছবি: এএনআই

পাঞ্জাবের ভোট ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়া হলো। আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে রাজ্যে ভোট হবে ২০ ফেব্রুয়ারি।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে ভোট পেছনোর অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাসজয়ন্তী। এ উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষ রাজ্য থেকে উত্তর প্রদেশের বারানসিতে গুরু রবিদাসের জন্মস্থানে যাবেন শ্রদ্ধা জানাতে। সমাজের তফসিল জাতি ও দলিতদের এক বিরাট অংশ প্রতিবছর এই দিনে বারানসি যায়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হলে এসব মানুষকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। এ কারণে ভোট যেন ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।

পাঞ্জাবের মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ তফসিল জাতিভুক্ত। প্রতিবছর সেখানে গুরু রবিদাসের জন্মদিন যথাযোগ্য সমারোহে পালন করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী চান্নির পাশাপাশি একই আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি, বিএসপি, আম আদমি পার্টিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও। সেই দাবি মেনে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে। পাঞ্জাবে এবার ভোট হতে চলেছে এক দিনেই।

ভারতের পাঁচ রাজ্যের ভোটে জনসভা, রোড শো, মিছিল–মিটিংয়ের ওপর ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে সমাবেশ করার অভিযোগে কমিশন সমাজবাদী পার্টিকে নোটিশ দিয়েছে। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে আসা নেতারা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে এলে লক্ষ্ণৌয়ে দলীয় সদর দপ্তরের সামনে জনসমুদ্রের সৃষ্টি হয়। সেই কারণে কমিশন নোটিশ দিয়ে এসপিকে জবাবদিহি করতে বলেছে।

এর পাল্টা কমিশনকে চাপ দিয়ে এসপি নেতা অখিলেশ যাদব সোমবার এক টুইট করেছেন। তাতে কোভিডবিধি উপেক্ষা করে রাজ্যের বিজেপি প্রার্থীদের রোড শোর ক্লিপিং জুড়ে অখিলেশ কমিশনের বিরুদ্ধে তিনি পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন। তাঁর অভিযোগ, পক্ষপাতিত্ব শুধু কমিশনই করছে না, প্রশাসনও করছে। কারণ, এসপি অফিসের সামনে সমাবেশের জন্য পুলিশ আড়াই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করলেও, রোড শো করা বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।