পেট্রাপোল সীমান্তে দুর্দশায় কুলিরা

বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলসীমান্ত
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলসীমান্তে পর্যটক বা যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য ভারতে নিয়োজিত প্রায় ৪০০ কুলির উপার্জন বন্ধ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর পেট্রাপোলের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের মালামাল বহন করতে কুলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এতে যাত্রীদের সীমান্ত পারাপারের সময় নিজেদের মালপত্র বহন করতে হচ্ছে। ফলে বয়স্ক, অসুস্থ ও চিকিৎসার জন্য আসা যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এ সীমান্তপথে পর্যটক ভিসা চালু না হলেও বিশেষ ভিসার ব্যবস্থা রয়েছে।

পেট্রাপোলের ভারতীয় কুলি বা মালবহনকারীরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে প্রায় দুই বছর ধরে আন্দোলন করছেন। তবে করোনার কারণে তাতে অনুমোদন দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার কলকাতা থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিলের ভারত চাপ্টারের অন্যতম সদস্য উৎপল রায়ের নেতৃত্বে একদল সদস্য পেট্রাপোল সীমান্তে গিয়ে কুলিদের দুর্দশার কথা শোনেন। যাত্রীদের কষ্টের কথাও তাঁরা শোনেন। তাঁরা পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।

পেট্রাপোল সীমান্তে অসুস্থ ও বয়স্ক যাত্রীদের জন্য রিকশার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু যাত্রীরা অনেকেই বিষয়টি জানেন না। মালামাল বহনের জন্য ট্রলিও থাকলেও খোঁজ পান না যাত্রীরা।

মানবাধিকারকর্মী উৎপল রায় প্রথম আলোকে বলেছেন, তিনি এ সীমান্তের স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গত শনিবার কথা বলেছেন। তুলে ধরেছেন সীমান্তের নানা সমস্যার কথা। সীমান্তে কুলিদের কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন।

উৎপল রায় আরও বলেছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথা শুনে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কবে থেকে কুলিরা মাল বহনের সুযোগ পাবেন, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি। পালাক্রমে কুলিদের কাজে নিযুক্ত করা হতে পারে।

পেট্রাপোল-বেনাপোল অঞ্চলের ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ কুলিদের মাল বহনের কাজে নিয়োজিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।