বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের ১৬ নেতা-কর্মীর জামিন

সাবেক ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে কলকাতা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ
ফাইল ছবি: এএনআই

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের গ্রেপ্তার ১৬ নেতা–কর্মীর জামিন হয়েছে। মঙ্গলবার হাওড়ার কারাগার থেকে তাঁরা জামিনে বের হন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে হাওড়ার আমতার নিজের বাড়ির সামনে ছাত্রনেতা আনিসের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা আমতাসহ পুরো রাজ্য। শুরু হয় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ। দাবি ওঠে আনিসকে চারতলার ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। আমতা পুলিশই আনিসকে হত্যা করেছে। আনিস হাওড়া জেলার আমতার বাসিন্দা ও কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কলকাতার বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের ১৬ নেতা–কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁরা ছাত্রনেতা আনিস খানের মুক্তির দাবিতে হাওড়ার পাঁচলায় গ্রামীণ পুলিশ সুপারের দপ্তর ঘেরাও অভিযান করে থানায় ব্যাপক ভাঙচুর করেন। তবে বামপন্থী ছাত্র ও যুবরা পাল্টা অভিযোগ করে বলছেন, তাঁরা আনিস খান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সে সময় পুলিশ তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের লাঞ্ছিত করে, মারধর করে।

মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, আনিস খানের খুনিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দাবি তোলেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গড়া সিট বা স্পেশাল তদন্ত টিমের তদন্তে আস্থা রাখতে পারছেন না। তাঁরা চাইছেন, আনিস হত্যার তদন্ত করাতে হবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে। যদিও ইতিমধ্যে পরিবারের আবেদনে আনিস খানের লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার দুপুরে আনিসের মরদেহ আমতার গ্রামের বাড়ির কবরস্থান থেকে তুলে তা দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় কলকাতার পিজি হাসপাতালে।