বিজেপি ক্ষমতায় গেলে ‘সুন্দরবন’ নামে জেলা
বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চল নিয়ে সুন্দরবন জেলা নামে একটি আলাদা জেলা গড়া হবে। শুধু তা–ই নয়, রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই এই সুন্দরবন জেলা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
আজ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলের গোসাবায় বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সুন্দরবন জেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক বছরের মধ্যে গড়া হবে নতুন সুন্দরবন জেলা। ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে মমতা সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করার কথা বললেও আজও সুন্দরবনকে নিয়ে আলাদা জেলা গঠন করা হয়নি। সুন্দরবন আজ বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্য। এই সুন্দরবনের ১০ শতাংশ বাংলাদেশে ও ৬ শতাংশ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের অংশ নিয়ে গড়া হবে আলাদা জেলা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সুন্দরবনের উন্নয়নের কথা বললেও সুন্দরবনের আদৌ উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেন অমিত শাহ। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বিজেপি এই বাংলায় ক্ষমতায় এলে সুন্দরবনকে জেলা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবনকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। গোসাবার নদীতে তৈরি হবে সেতু। শুধু তা–ই নয়, এই সুন্দরবনে তৈরি হবে সর্বাধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র এইমস বা অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সায়েন্সেস। সুন্দরবন অঞ্চলের সব মানুষের জন্য পরিস্রুত পানির ব্যবস্থা করা হবে।
মৎস্যজীবীদের কল্যাণের জন্য তাঁদের বছরে ছয় হাজার রুপি করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। তাঁদের জন্য তিন লাখ রুপির বিমার ব্যবস্থা করা হবে। সুন্দরবনের বাঘকে আধুনিক ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করা হবে। এই সুন্দরবনে গড়া হবে একটি ট্যুরিস্ট সার্কিট।’
অমিত শাহ আরও বলেন, আম্পানের সাহায্যের সেই ১০ হাজার কোটি রুপি কোথায় গেল? সব টাকা তো গেছে ভাইপোর কোম্পানিতে। বিজেপি এই বাংলায় ক্ষমতায় এলে বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠন করে সব টাকা বের করে আনা হবে। দোষীদের জেলে ঢোকানো হবে। এই বাংলাকে তৃণমূলমুক্ত করে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা হবে।
গোসাবায় জনসভার পর অমিত শাহ মেদিনীপুর শহরে বিজেপির প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত একটি রোড শোতে অংশ নেন।