বিয়েতে যাওয়ায় ব্যাঙ লাফ

অতিথিরা ব্যাঙ লাফ দেন। গতকাল ভারতের মধ্যপ্রদেশে
ছবি: এনডিটিভি

অতিথিরা বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ভূরিভোজ করতে। কিন্তু বিয়েবাড়িতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, তা হয়তো কেউ কল্পনাও করেননি। লকডাউনের নিয়মভঙ্গের জন্য তাঁদের ‘ব্যাঙ লাফ’ দিতে হয়েছে। পরে পুলিশ তাঁদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভিন্দ শহরে গতকাল বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিন্দ শহরের উমারি গ্রামে মহা ধুমধামে একজনের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রায় ৩০০ অতিথি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একসঙ্গে এত মানুষের জমায়েত করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরোপিত লকডাউন নিয়মের চরম লঙ্ঘন। এই গণজমায়েতের খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। বিষয়টি টের পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যান। তবে যাঁদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয়, পুলিশ তাঁদের শাস্তি হিসেবে মাঠের পাশে একটি রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ব্যাঙ লাফ দেওয়ায়।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। সেখানে দেখা গেছে, প্রায় ১৭ জন পুরুষ সারিবদ্ধ হয়ে ব্যাঙ লাফ দিচ্ছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে বিষয়টি দেখছেন পুলিশ সদস্যরা। একজন ঠিকমতো ব্যাঙ লাফ দিতে না পারায় তাঁকে লাঠি দিয়ে মারতে দেখা যায় এক পুলিশ সদস্যকে। এই শাস্তি দেওয়ার পর লকডাউন চলাকালে এ রকম কোনো গণজমায়েত না করতে তাঁদের সতর্ক করে দেন কর্মকর্তারা। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মতো মধ্যপ্রদেশেও করোনা পরিস্থিতি খারাপ। গত বুধবার থেকে গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে পাঁচ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্ত সাড়ে সাত লাখের মতো। মারা গেছেন ৭ হাজার ২২৭ জন।

করোনা সংক্রমণ রোধে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন বেশ কঠোর। সম্প্রতি রাজ্যের সাগর জেলায় এক নারী মাস্ক না পরে বাইরে বের হন। তখন পুলিশের এক সদস্য তাঁকে আটকে লাথি, ঘুষি ও টেনেহিঁচড়ে মাটিতে ফেলে দেন।

তবে গত সপ্তাহে ভারতেই লকডাউনের নিয়মভঙ্গের জন্য ব্যাঙ লাফের ঘটনা ঘটে। তবে সেটা অন্য রাজ্য বিহারের কিশানগঞ্জে। মার্কেটের ভেতর একদল যুবককে ব্যাঙ লাফ ও হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করে পুলিশ।