বেকার হোস্টেলের বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান শেষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান শেষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বঙ্গবন্ধুর ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী কলকাতায় পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার ৮ স্মিথ লেনের সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আবিদা ইসলাম তাতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

একই সঙ্গে বেকার হোস্টেলের এই স্মৃতিবাহী কক্ষের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতেও মাল্যদান করা হয়। কলকাতার সোনালী ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশসহ কলকাতার কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে। এরপর বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত। পরে কলকাতা উপহাইকমিশনে আলোচনা সভা এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

মৌলানা আজাদ কলেজের (আগের নাম ইসলামিয়া কলেজ) বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
মৌলানা আজাদ কলেজের (আগের নাম ইসলামিয়া কলেজ) বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বেকার হোস্টেল
১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রি পড়ার সময় (১৯৪৫-৪৬ সালে) বেকার হোস্টেলে ছিলেন। ২৪ নম্বর কক্ষে তিনি থাকতেন। ইসলামিয়া কলেজের নাম বদলিয়ে এখন নামকরণ করা হয়েছে মৌলানা আজাদ কলেজ। ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়া হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে এখনো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহূত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। তত্কালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। পরে ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তত্কালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী।