ভারতের একটি ধরনকেই ‘উদ্বেগজনক’ বলছে ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)
ছবি: রয়টার্স

ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ‘ডেলটা ভেরিয়েন্টের’ বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে শুধু একটিকেই এখন ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে বিবেচনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও এ কথা জানায়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার বিশেষ ধরন এত দিন করোনার ভারতীয় ধরন নামে পরিচিত ছিল। গত সোমবার ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে করোনার এই ধরনের নতুন নাম দেওয়া হয়। এর নাম ‘ডেলটা ভেরিয়েন্ট’।

গত বছরের অক্টোবরে ভারতে প্রথম করোনার ‘বি.১. ৬১৭’ ধরন শনাক্ত হয়। করোনার এই ধরনকে অতি সংক্রামক হিসেবে মনে করা হয়। ভারতে করোনার সংক্রমণের বিস্ফোরণের জন্য এই ধরনকে দায়ী করা হয়। ইতিমধ্যে ‘বি.১. ৬১৭’ ধরনটির একাধিক সংস্করণ তৈরি হয়েছে। যেমন—‘বি.১. ৬১৭.২’, ‘বি.১. ৬১৭.৩’।

করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। পরিবর্তিত হয়ে নিজের নতুন নতুন ধরন তৈরি করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের হাজারো মিউটেশন চিহ্নিত করা হয়েছে।

গত মাসে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার পুরো ভারতীয় ধরনকেই ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু গতকাল ডব্লিউএইচও বলেছে, করোনার ভারতীয় ধরনগুলোর মধ্যে এখন শুধু একটিই ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য।

ডব্লিউএইচও বলেছে, এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে জনস্বাস্থ্যের বৃহত্তর ঝুঁকির সঙ্গে বর্তমানে ‘বি.১. ৬১৭.২’ ধরনটির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অন্য ধরনগুলোর সংক্রমণের হার কম লক্ষ করা যাচ্ছে।

ডব্লিউএইচও বলেছে, করোনার এই ধরনের (বি.১. ৬১৭.২) সংক্রমণ বৃদ্ধির তাৎপর্যপূর্ণ সক্ষমতা তারা পর্যবেক্ষণ করছে। একই সঙ্গে ধরনটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া দেশের সংখ্যাও বাড়ছে।

করোনার ‘বি.১. ৬১৭.২’ ধরনটির প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ডব্লিউএইচও। এদিকে সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারত টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিশ্বের ৯১টি দেশ করোনার ভারতীয় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে।