ভারতের সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার অভিযোগ

জোড়া বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এয়ার ফোর্স স্টেশনে। ২৭ জুন, জম্মুতে।ছবি: এএনআই

ভারতের জম্মু বিমানবন্দরের সামরিক স্থাপনায় জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণে ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের কোনো সেনা স্থাপনায় প্রথমবারের মতো মনুষ্যবিহীন উড়োজাহাজ বা ড্রোন থেকে হামলার ঘটনা এটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে জম্মু বিমানবন্দরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে রাত ১টা ৩৭ মিনিটে। এর ৬ মিনিট পর রাত ১টা ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। একটি বিস্ফোরণে ওই স্টেশনের কারিগরি শাখার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্য বিস্ফোরণটি খোলা জায়গায় ঘটেছে।

আগে থেকেই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা এই সামরিক স্থাপনায় জোড়া বিস্ফোরণের পরপরই বোমাবিষয়ক জাতীয় তথ্যভান্ডারের বিশেষজ্ঞ, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং ফরেনসিক দলের সদস্যরা সেখানে যান। পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটর দূরের এই সামরিক স্থাপনায় পৌঁছেছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তারা। প্রাথমিক তদন্তে এটাকে ‘গুরুতর ঘটনা’ বলে মনে করছেন তাঁরা।

সূত্রের বরাতে এএনআই বলছে, ঘটনাস্থলের পাশে একটি সামরিক উড়োজাহাজ রাখা ছিল। সেটিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে। আর কলকাতাভিত্তিক সংবাদপত্র আনন্দবাজার জানিয়েছে, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এ ঘটনার পর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির বিমানবাহিনীর উপপ্রধান এয়ার মার্শাল হরজিৎ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিমানবাহিনীর তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দল জম্মু যাচ্ছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। রাজনাথ সিং ও ভারতের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানের তিন দিনের লাদাখ সফর শুরুর প্রাক্কালে জম্মুর সামরিক স্থাপনায় এ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

এর আগে গত বছরের ২০ জুন জম্মুর সীমান্তসংলগ্ন কাঠুয়া জেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) একটি গুপ্তচর ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। গত সেপ্টেম্বরে জম্মুর আখনুরে একটি সন্দেহভাজন ড্রোন শনাক্ত করেছিল স্থানীয় পুলিশ।