ভারতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা বিএসএফের বিরুদ্ধে

সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন বিএসএফের এক সদস্য
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলোর মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ফৌজদারি মামলায় সবচেয়ে এগিয়ে। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও নেহাত কম নয়।

গতকাল বুধবার ভারতের আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অধিবেশনে এ তথ্য জানান দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

অধিবেশনে সিপিএমের সাংসদ ভি শিবদাসনের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে নিত্যানন্দ রাই বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএসএফ, আসাম রাইফেলস, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স  বা সিআরপিএফ, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি ও স্বরাষ্ট্র সীমা বল বা এসএসবি।

বিএসএফের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ৪৫১টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ৩০টি। এরপরই সিআরপিএফের বিরুদ্ধে ৩৫৪টি ফৌজদারি অপরাধের মামলা ও ৪৭টি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

রাজ্যসভার অধিবেশনে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সিআইএসএফের বিরুদ্ধে ১৫টি দুর্নীতির অভিযোগ ও ২৫৮টি ফৌজদারি মামলা, এসএসবির বিরুদ্ধে ৭৮টি দুর্নীতির অভিযোগ ও ২৪৭টি ফৌজদারি মামলা, আইটিবিপির বিরুদ্ধে ৬টি দুর্নীতির অভিযোগ ও ৬৭টি ফৌজদারি মামলা এবং আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে ৫টি দুর্নীতির অভিযোগ ও ৫৫টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অপর দিকে এনএসজির বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলেও ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে সাতটি।

এদিকে বিএসএফের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ ও ফৌজদারি মামলা থাকলেও গত অক্টোবরে বাহিনীটির ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব রাজ্যের সীমান্তে বিএসএফের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার এলাকা ১৫ বর্গকিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ বর্গকিলোমিটার করা হয়। ওই এলাকায় অনুপ্রবেশকারী ও চোরাকারবারিদের প্রমাণসহ গ্রেপ্তার করতে পারবেন বাহিনীটির সদস্যরা।