‘ভোটগুরু’র বাড়ি ভাঙল বিহার সরকার

ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘ভোটগুরু’ হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোর
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতে ‘ভোটগুরু’ হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) গ্রামের বাড়ির একাংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিহারের রাজ্য সরকার। গতকাল শুক্রবার ভোরে রাজ্য পুলিশ বুলডোজার দিয়ে পিকের বাড়ির দেয়াল ও প্রধান ফটক ভেঙে দিয়েছে।

বিহারের বক্সার জেলার অহিরৌলি এলাকার ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে রয়েছে পিকের পৈতৃক বাসভবন।

পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠেয় রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার জন্য ২০১৯ সালে এই ভোটগুরুকে নিয়োগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটগুরুও মমতাকে জেতানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁর দলবল এবং সংস্থা নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে কাজও শুরু করেছেন। নিত্যনতুন ঘোষণা করছেন প্রচারের নানা কৌশল।

নির্বাচনে জয়ের জন্য নানা কৌশলের কথা বাতলিয়ে থাকেন প্রশান্ত কিশোর। আর এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাঁর সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি।

একসময় বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে বিজয়ী করতেও সহযোগিতা করেছিলেন পিকে। তবে তাঁর বাড়ি ভাঙার ঘটনা রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতির ফল বলে মনে করা হচ্ছে। বিহারের নীতিশ কুমার সরকারের এনআরসি, সিএএ সহ কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের গৃহীত নানা প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এটা একদম পছন্দ করছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।

রপরই নীতিশ তাঁর জনতা দল (সংযুক্ত) থেকে বহিষ্কার করেন প্রশান্ত কিশোরকে। এই বহিষ্কারের পর দ্বন্দ্ব শুরু হয় নিতীশ-প্রশান্তের।

যদিও বিহারের পুলিশ বলছে, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ভেঙে দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত কিশোরদের বসতবাড়ির একাংশ।