মহারাষ্ট্রে বৃষ্টি ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৫৯ জন। আজ শনিবার রাজ্যের ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভারী বৃষ্টি–ভূমিধসে ১১২ জন নিহত হয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
ভারী বৃষ্টি–ভূমিধসে মহারাষ্ট্রের রায়গড়, রত্নগিরি, পালঘর, থানে, কোলাহপুর, সাংলি, সাতারাসহ কয়েকটি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেক জায়গায় উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি। উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৮৯ হাজার ৩৩৩ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কোলহাপুরের ৪০ হাজার ৮৮২ জন ও সাংলির ৪২ হাজার ৫৭৩ জন রয়েছেন। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের ১১৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা তালিয়েতে ভূমিধসে অন্তত ৪৭ জন মারা গেছেন বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে।
রাজ্য সরকারের তথ্যমতে, রত্নগিরি জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতারায় ছয়জন, কোলাহপুরে পাঁচজন মারা গেছেন। রায়গড়ে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে এখনো ৫৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসা ব্যয় রাজ্য সরকার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে এবং নদীতীরবর্তী অনেক এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বাঁধ ও নদীর পানি উপচে পড়ছে। নদীতীরের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নৌ ও সেনাবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় সাহায্য করছে।
গত বুধবার সকাল থেকে মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতের দিকে হয় বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে ২০ জুলাই মুম্বাইয়ে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি ছিল। ২১ জুলাই অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টি হবে জানিয়ে আবহাওয়া বিভাগ মুম্বাইসহ কয়েকটি এলাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে।