মোদির সমালোচনায় মুখর সোনিয়া গান্ধী

লোকসভায় গতকাল বক্তব্য দেন কংগ্রেস দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী
লোকসভায় গতকাল বক্তব্য দেন কংগ্রেস দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী

ভারতের পার্লামেন্টের ভেতরে এবং বাইরে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনায় মুখর হলেন কংগ্রেস দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তিনি মোদি সরকারে কঠোর সমালোচনা করেন। খবর এনডিটিভির।
গতকাল ভারতের লোকসভায় দেশটির কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগে সরব হন সোনিয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রধান তথ্য কমিশনার পদটি। আট মাস ধরে এ পদ ফাঁকা রয়েছে। সোনিয়ার ভাষায় এটি ‘শোচনীয় ত্রুটি’। তথ্য অধিকার আইনে ওই কমিশনে ৩৯ হাজার আবেদন পড়ে আছে বলে উল্লেখ করেন সোনিয়া। তিনি বলেন, যারা তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাদের শাস্তি দিতে ‘সরকারের আগ্রহের অভাব আছে।’ সোনিয়া বলেন, ‘অন্যায়কারীদের রক্ষা করা কখনোই একটি সরকারের নীতি হতে পারে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তাদের মেনে চলা দরকার।’
সোনিয়া সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতা নিয়ে একগুচ্ছ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি এখনো চলছে। এখন আবার সরকার সেসব প্রতিশ্রুতির পথ থেকে সরে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান তথ্য কমিশনার নিয়োগ না দিয়ে সরকার এটি প্রতিষ্ঠিত করেছে যে তারা তথ্য অধিকার আইনটি মানে না।’
কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী একটি মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন করলে স্পিকার তা নাকচ করে দেন। তবে তিনি সোনিয়াকে বক্তব্য দিতে দেন।
পার্লামেন্টে বিবৃতি দেওয়ার পর সোনিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার অবস্থান দৃঢ়। আমি যেসব কথা পার্লামেন্টে বলেছি, এসবের কোনো জবাব নেই সরকারের কাছে। সরকার চাইলে তথ্য অধিকার আইন বাতিল করে দিতে পারে।’ এ সময় সোনিয়ার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে এবং কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে চায়। প্রধানমন্ত্রীও এটা চান।
গত মাসে কানাডা সফরকালে আগের কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গতকাল সকালে দলীয় সাংসদদের সাপ্তাহিক সভায় এ প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে এমন মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী যে অবস্থানে আছেন তাকে খাটো করে। এটি জাতির জন্যও বিব্রতকর।’