মোরারজির পর এবার গড়কড়ির মুখে 'মূত্র-বন্দনা'

গড়কড়িকে নিয়ে দেওয়া টুইটার বার্তা
গড়কড়িকে নিয়ে দেওয়া টুইটার বার্তা

ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই রোগ ‘প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে’ দীর্ঘদিন ধরে ‘ইউরিন থেরাপি’ নিতেন। সহজ কথায় বলা যায়, আক্ষরিক অর্থেই তিনি নিয়মিত নিজের প্রস্রাব খেতেন।
১৯৭৮ সালে মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস নিউজের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘সিক্সটি মিনিটস’-য়ে মোরারজি এই কথা শুধু স্বীকারই করেননি, ইউরিন থেরাপির নানা ‘উপকারী’ দিকও তিনি তুলে ধরেছিলেন। সবাইকে এই ‘মূত্র থেরাপি’ নিতেও বলেছিলেন তিনি।
মোরারজির পর এবার ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতীন গড়কড়ির মুখে শোনা গেল ‘মূত্র-বন্দনা’। তিনি অবশ্য প্রস্রাব খাওয়ার পক্ষে নন। তবে বাগানের গাছগাছালিতে পানি দেওয়ার পরিবর্তে মানুষের প্রস্রাব ব্যবহারের কথা বলেছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

গড়কড়ি বলেছেন, তিনি নিজের ৫০ লিটার প্রস্রাব প্লাস্টিকের ব্যাগে জমিয়ে সেই প্রস্রাব তাঁর বাগানের গাছের গোড়ায় দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটা বিকল্প সার হিসেবে কাজ করেছে এবং ওই গাছগুলো অন্য গাছের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। এই পদ্ধতি অনুসরণের জন্য তিনি অন্যদের পরামর্শও দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নাগপুরে মরুকরণ প্রতিরোধ নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় নিতীন গড়কড়ি বলেন, তিনি দিল্লির অভিজাত এলাকার যে বাংলোতে বাস করেন, সেটি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাড়ির ঠিক বিপরীতে অবস্থিত। বাড়িটিতে চাষাবাদের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। তিনি বলেন, ওই বাড়ির গাছগাছালিতে পানির পরিবর্তে প্রস্রাব ব্যবহার করে বেশ ফল পেয়েছেন তিনি। এতে স্বাভাবিকের তুলনায় দেড়গুণ বেড়েছে গাছগুলো।
নিতিন বলেন, ‘আমি কিছু প্লাস্টিকের পাত্রে প্রস্রাব জমাতে শুরু করি। ৫০ লিটার হওয়ার পর একদিন বাগানের মালিকে ডেকে পানির পরিবর্তে প্রস্রাব ব্যবহার করতে বললাম। আমি আপনাদের বলছি, এটি বেশ কাজে দিয়েছে। এরপর ওই গাছগুলো অন্য গাছগুলোর তুলনায় দেড় ফুট বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’ প্রস্রাবে ইউরিয়া ও নাইট্রোজেনের উপস্থিতি আছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে পদ্ধতির ব্যবহারের ফলে তাঁকে সামাজিকভাবে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গড়কড়ির এই ‘মূত্র তত্ত্ব’ নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। টুইটারে ‘গড়কড়িলিকস’ নামে একটি হ্যাশট্যাগও তৈরি হয়েছে এর মধ্যে। এতে একজন লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের টয়লেটে প্রস্রাব করতে বলেন, গড়কড়ি বলেন বাগানে প্রস্রাব করতে। জাতি জানতে চায়, তাঁরা আসলে কোথায় প্রস্রাব করবে? ’
আরেকজন আবার আরেক কাঠি এগিয়ে একটি গাছের ছবি পোস্ট করে এর নাম দিয়েছেন গড়কড়ির ‘বহিস্থ টয়লেট’।