লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছেলে অনিল শাস্ত্রী। পিতার মৃত্যু-সংক্রান্ত সমস্ত নথি প্রকাশের দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা অনিল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন-আইবিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনিল শাস্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবার মৃতদেহ যখন দিল্লি বিমানবন্দরে নামানো হলো, তখনই আমাদের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। এর কারণ হলো, তাঁর সারা শরীর নীল হয়ে গিয়েছিল। তাঁর মুখ নীল হয়ে গিয়েছিল।’
অনিল শাস্ত্রী বলেন, ‘বাবার লাশ দেখার পরপরই আমার মা সরাসরি এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে সেটা স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না। মা পরিবারের সবাইকে বলেছিলেন, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, এখানে গোলমেলে কিছু আছে।’
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের তাসখন্দে গিয়েছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর শাস্ত্রীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।