৪৬ বছর পর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে

এস এম কৃষ্ণ
এস এম কৃষ্ণ

টানা ছেচল্লিশ বছর কংগ্রেসে কাটিয়ে ৮৪ বছর বয়সে বিজেপিতে যোগ দিলেন কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ। দলত্যাগের কারণ হিসেবে পরোক্ষভাবে দায়ী করেছেন কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর গত তিন বছরের নেতৃত্বকে। বললেন, রাজনীতিটা ছেলেখেলা নয়, সারাক্ষণের কাজ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এস এম কৃষ্ণ বলেন, ‘সোনিয়া গান্ধী যত দিন দল চালিয়েছেন তত দিন কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু গত তিন বছর ধরে আমার মতো পুরোনো নেতারা দলে কোনো গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না।...পরিবারতন্ত্র কায়েম রাখার চেষ্টার কারণেই দল ডুবছে।’
কৃষ্ণ শুধু কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন না, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আমলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। পরে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হন।
কর্ণাটকের রাজনীতির প্রধান নিয়ন্ত্রক দুই সম্প্রদায় ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত। এই রাজ্যে বিজেপি প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসেছিল বি এস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে, যিনি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর রাজত্ব যায়। দল থেকেও বিতাড়িত হন। পরে বিজেপি তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেয়। এবার ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা কৃষ্ণকে দলে টেনে তারা রাজ্যে ফের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রস্তুত করল। সেই সঙ্গে এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল।
আগামী বছর কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে চলতি মাসের শেষদিকে বিধানসভার দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। বিজেপি চায় এ নির্বাচনের প্রচারে কৃষ্ণকে নামাতে।
এস এম কৃষ্ণ কেন দল ছাড়লেন, তাঁর অভিযোগই-বা কী, পরিবারতন্ত্রকে মেনে নিয়ে এত বছর কংগ্রেসের রাজনীতি করে এখন তার সমালোচনা কেন —স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নগুলো ওঠে। সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিটা হিট অ্যান্ড রান অথবা পার্ট টাইম কাজ নয়। এটা সারাক্ষণের কাজ।’ পরিবারতন্ত্র সম্পর্কে কৃষ্ণ বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর অনেকের সঙ্গে আমিও রাজীব গান্ধীকে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছিলাম। রাজীব যোগ্য নেতা ছিলেন। মানুষের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত।’