পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে নিহত বেড়ে ৪

গাছ ভেঙে পড়ে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়। ম্যাডক্স স্কয়ার, কলকাতা। ২৭ মে, ২০২৪ছবি: প্রথম আলো

পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত থেকে টানা বৃষ্টির ফলে পানির নিচে তলিয়ে গেছে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। শহরের ঐতিহ্যবাহী ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির সামনে বৃষ্টির পানি রীতিমতো খালে রূপ নিয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে আজ সোমবার সকালে মেট্রো চলাচল চার ঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মুহাম্মদ সজীব, ফড়ে সিং, ফড়ে সিংয়ের ছেলে তরুণ সিং।

স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কলকাতার এন্টালি এলাকায় গতকাল রাতে বাড়ির কার্নিশ ভেঙে মাথায় পড়লে মারা যান মুহাম্মদ সজীব। এ ছাড়া গতকাল রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কোঙারপাড়ায় রাস্তায় ভেঙে পড়া কলাগাছ সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ফড়ে সিং ও তাঁর ছেলে তরুণ সিং। কলাগাছে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে ছিল। আর পরিচয় না জানতে পারা ব্যক্তির মৃত্যু হয় গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুমি দ্বীপে। গাছ ভেঙে তাঁর ওপর পড়লে তিনি মারা যান।

পানি জমেছে রবীন্দ্র সরোবরের সড়কে। ২৭ মে, ২০২৪
ছবি : প্রথম আলো

টানা বৃষ্টির কারণে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, পার্ক সার্কাস, কলেজ স্ট্রিট, আমহাস্ট স্ট্রিট, বউ বাজার, উল্টোডাঙ্গা, বালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া, স্ট্যান্ড রোড, শ্যামবাজার, বড় বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। কলকাতা শহরের বাইরে রাজ্যের হাওড়ার সালকিয়া, টিকিয়াপাড়া, রামরাজাতলা, লিলুয়ার বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।

গতকাল রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে কলকাতা মেট্রো স্টেশনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ ছিল। এ ছাড়া ট্রেনের ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ায় হাওড়া তারকেশ্বর লাইনে ট্রেন চলাচল কিছু সময় বন্ধ থাকে।