ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন জগদীপ ধনকড়

ভারতের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন জগদীপ ধনকড়
ফাইল ছবি: এএনআই

ভারতের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন জগদীপ ধনকড়। আজ শনিবারের নির্বাচনে তিনি ৭০ শতাংশ সংসদ সদস্যের ভোট নিশ্চিত করতে চলেছেন বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ আগস্ট। নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে জগদীপ ধনকড় শপথ নেবেন ১১ আগস্ট।

ধনকড়ের প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভাকে সমর্থন করেছে ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি ও বামপন্থী দলগুলোর মতো পরিচিত বিজেপিবিরোধীরা। এ ছাড়া জেএমএম, আম আদমি পার্টি, টিআরএস ও উদ্ধব ঠাকরের অনুগামী শিবসেনার সদস্যরাও আলভাকে সমর্থন জানান।

ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ ও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ২৪৫ জন সদস্যের ভোটে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংসদে এই মুহূর্তের শূন্য পদের সংখ্যা ৮। তৃণমূল কংগ্রেস এই নির্বাচনে কোনো পক্ষকে সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মোট ভোটার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৪৪। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। বিজেপির হিসাব অনুযায়ী, ভেঙ্কাইয়া নাইডুর চেয়ে ধনকড় ২ শতাংশ বেশি ভোট পাবেন। দুই কক্ষ মিলিয়ে বিজেপির একারই রয়েছে ৩৯৪ জন সদস্য। তা ছাড়া বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিএসপি, টিডিপি ও একনাথ শিন্ডের অনুগামী শিবসৈনিকেরা ধনকড়কে সমর্থন করছেন। জয়ের জন্য ধনকড়ের প্রয়োজন ৩৭২ জনের সমর্থন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষুদ্র জনজাতিভুক্ত সাঁওতালি নারী রাজনীতিক দ্রৌপদী মুর্মুকে পছন্দ করার মধ্য দিয়ে বিজেপি যেমন দেশের ৯ শতাংশ মানুষের সমর্থন আদায় করতে চেয়েছে, তেমনই রাজস্থানের জাট কৃষকসন্তান জগদীপ ধনকড়কে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে বিক্ষুব্ধ কৃষক সমাজের সমর্থন আদায়ে তারা সচেষ্ট। কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানের বিধানসভার ভোটে ধনকড়ের মনোনয়ন রাজনৈতিক সুবিধা দেবে বলেও বিজেপির বিশ্বাস। পাশাপাশি হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড ও পাঞ্জাবেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা। ধনকড় বিশিষ্ট আইনজীবী হওয়ায় রাজ্যসভা পরিচালনা তাঁর পক্ষে সহজ হবে।

রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তি

মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই দিনই ছয় ঘণ্টা পর তাঁদের মুক্তি দেয় পুলিশ।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি ছিল কংগ্রেসের। সংসদ ভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংসদ সদস্যদের।