বয়স মাত্র ২৫, লোকসভায় জিতে নজর কাড়লেন তাঁরা
ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাফল্য নজর কেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একক প্রভাব খর্ব করে দারুণ সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন এই জোট। সেই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে আলাদা করে নজর কেড়েছেন এ প্রজন্মের চার রাজনীতিক।
ভোটের লড়াইয়ে জিতে আসা এই চারজন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। বিহার, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান থেকে জয় পেয়েছেন তাঁরা। চারজনের একটি জায়গায় দারুণ মিল, সবারই বয়স ২৫ বছর।
জেনারেশন জেড–এর এই চারজন হলেন—পুষ্পেন্দ্র সরোজ, প্রিয়া সরোজ, সম্ভাবী চৌধুরী এবং সঞ্জনা জাতভ।
পুষ্পেন্দ্র সরোজ সমাজবাদী পার্টির সদস্য। উত্তর প্রদেশের কৌশাম্বি লোকসভা আসন থেকে ভোটের লড়াই নেমেছিলেন তিনি। শুরুতেই বাজিমাত করেছেন। ওই আসনে বিজেপির সংসদ সদস্য বিনোদ কুমার শঙ্করকে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন পুষ্পেন্দ্র।
সমাজবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সরোজের ছেলে পুষ্পেন্দ্র। ইন্দ্রজিৎ উত্তর প্রদেশের পাঁচবারের এমএলএ। প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের কুইন মেরি ইনিভার্সিটিতে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন পুষ্পেন্দ্র। পরে দেশে ফিরে বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। এখন মাত্র ২৫ বছর বয়সে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন।
সমাজবাদী পার্টির আরেক তরুণ মুখ প্রিয়া সরোজ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের মছলিশহর আসন থেকে জিতেছেন তিনি। ৩৫ হাজার ৮৫০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সংসদ সদস্য ভোলানাথকে। প্রিয়ার বাবা তুফানি সরোজ তিনবারের সংসদ সদস্য।
সম্ভাবী চৌধুরী বিহারের লোক জনশক্তি পার্টির সদস্য। রাজ্যের সমস্তিপুর আসন থেকে কংগ্রেসের সানি হাজারিকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। সানি জনতা দলের (সংযুক্ত) মন্ত্রী মহেশ্বর হাজারির ছেলে। তাঁদের ভোটের ব্যবধান লাখের ওপরে।
সম্ভাবী চৌধুরীর বাবা অশোক চৌধুরীও রাজনীতিবিদ। অশোক চৌধুরী বিহারের নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে জনতা দলে (সংযুক্ত) যোগ দিয়েছেন তিনি। সম্ভাবী চৌধুরীর দাদা মহাবীর চৌধুরীও একসময় কংগ্রেসের রাজনীতি করতেন। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
কংগ্রেসের সদস্য সঞ্জনা জাতভ। রাজস্থানের ভারতপুর আসন থেকে এবার জয় পেয়েছেন তিনি। ৫১ হাজার ৯৮৩ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির রামস্বরূপ কোলিকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনেও লড়েছিলেন সঞ্জনা। কিন্তু তখন জিততে পারেননি তিনি। বিজেপির প্রার্থী রমেশ খেদির কাছে মাত্র ৪০৯ ভোটে হেরেছিলেন তরুণ এই প্রার্থী।