ছবি: টুইটার

শ্মশানে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে জোর করে মরদেহের হাড়ের গুঁড়া খাওয়াতে বাধ্য করেছেন স্বামী ও শ্বশুর–শাশুড়ি। সন্তানের আশায়  স্থানীয় তান্ত্রিকের পরামর্শে তাঁরা এ কাজ করেছেন। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনেতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ এসেছে। খবর এএনআইয়ের।

এ ঘটনার পর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন নারী। গত বুধবার পুনের পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়। নারীর স্বামী, তান্ত্রিক, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সাতজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

পুনে নগর পুলিশের উপকমিশনার সুহায়েল শর্মা বলেন, আইপিসির ৪৯৮এ, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারা ও কুসংস্কারবিরোধী আইনের ৩ ধারা অনুসারে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, ওই নারী আলাদা কয়েকটি ঘটনায় অভিযোগ করেছেন। তিনি শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে বিয়ের সময় নগদ টাকা, স্বর্ণ ও রুপার গয়না যৌতুক হিসেবে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

নারীর দ্বিতীয় অভিযোগটি ছিল বেশি ভয়াবহ। বেশ কয়েকটি অমাবস্যার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই তাঁকে জোর করে শ্মশানে নিয়ে একজনের মরদেহের হাড়ের গুঁড়া খাইয়েছিলেন।

উপকমিশনার শর্মা আরও বলেন, মহারাষ্ট্রের কোনকান অঞ্চলে নারীকে জলপ্রপাতের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে কালো জাদু বা আঘোরি চর্চা করতে বলা হয়। এই কালো জাদু করার সময় আবার তান্ত্রিকের সঙ্গে তাঁকে ভিডিও কলে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় শ্মশানে গিয়ে তদন্ত চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

ওই নারীর পরিবার শিক্ষিত। তারপরও তাঁকে এ ধরনের কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে এএনআইয়ের খবরে জানানো হয়।