রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্রন ২৪২ মামলার আসামি

কে সুরেন্দ্রনছবি: কে সুরেন্দ্রনের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কেরালা রাজ্যের ওয়েনাড আসনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিপক্ষে প্রার্থী হচ্ছেন কেরালার রাজ্য বিজেপির প্রধান কে সুরেন্দ্রন। তিনি বিজেপির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট এনডিএর হয়ে লড়বেন। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র থেকে জানা গেছে, এই নেতা ২৪২টি মামলার আসামি।

বিধি মোতাবেক দলের মুখপত্রে সম্প্রতি সুরেন্দ্রন তাঁর মামলার বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন। বিবরণীটি তিন পৃষ্ঠার।

সুরেন্দ্রনের মতো বিজেপির এরনাকুলাম আসনের প্রার্থী কে এস রাধাকৃষ্ণানের বিরুদ্ধেও ২১১টির মতো মামলা আছে।

কেরালায় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জর্জ কুরিয়ান পিটিআইকে বলেন, ‘বেশির ভাগ মামলাই ২০১৮ সালে হওয়া শবরীমালা বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত। মামলাগুলোর বেশির ভাগই আদালতে বিচারাধীন। যখনই দলের নেতারা ধর্মঘট বা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন, তখনই পুলিশ তার সঙ্গে সম্পর্কিত করে একটি মামলা দিয়েছে।’

কুরিয়ান আরও বলেন, প্রার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিস্তারিত প্রকাশ করাটা বাধ্যতামূলক।

ইতিমধ্যে গতকাল শুক্রবার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে সুরেন্দ্রন, রাধাকৃষ্ণান, দলের আলাপুজা আসনের প্রার্থী শোভা সুরেন্দ্রন এবং ভাটাকারা আসনের প্রার্থী প্রফুল কৃষ্ণের বিরুদ্ধে মামলার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেছেন।

সন্তোষ লিখেছেন, ‘ভারতের কিছু কিছু অংশে জাতীয়তাবাদী হওয়া কঠিন। প্রতিদিন সংগ্রাম করতে হয়। তবে এটা সংগ্রাম করারই বিষয়। ওয়েনাডের প্রার্থী সুরেন্দ্রনের সি সেভেন ফরম দেখুন। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শত মামলা।’

কেরালার বিজেপি প্রধান সুরেন্দ্রনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে কুরিয়ান বলেন, ২৪২টি মামলার মধ্যে ২৩৭টি হয়েছে শবরীমালা বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে। আর বাকি ৫টি মামলা কেরালায় বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পাথানামথিট্টা জেলার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত শবরীমালা মন্দিরে নারীদের প্রবেশের সুযোগ দিয়ে ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি আদেশ দিয়েছিলেন। কেরালা সরকার সে আদেশ কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিবাদে রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল বিজেপি এবং সংশ্লিষ্ট দলগুলো।

বিজেপি দলীয় অন্যান্য প্রার্থীর মামলার বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৪ এপ্রিল। ৫ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ এপ্রিল।

এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে ১৮টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন—কোল্লাম থেকে বাম প্রার্থী এম মুকেশ এবং কাসারগোড থেকে বিজেপি প্রার্থী অশ্বিনী এম এল।