নির্বাচনে অশান্তি হলে দায় নিতে হবে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন

ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আজ কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেনছবি: ভাস্কর মুখার্জি

আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর ভারতের নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে কোনো অশান্তি বরদাশত করা হবে না । অশান্তি হলে তার দায়দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বা ডিজিকে।

আজ মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় আসা নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এ কথা জানিয়ে দেয়।  কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের এই অবস্থানের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন। এই ১৩ সদস্যের ফুল বেঞ্চের নেতৃত্ব দেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, এবারের এই লোকসভা নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণভাবে। এই নির্বাচনে কোনো অশান্তি বরদাশত করা হবে না, হলে তার দায়দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বা ডিজিকে।

এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশের ডিজিকে যথাযথ নির্দেশ দেয়। জানিয় দেয়, ভোটের আগে এবং পড়ে অশান্তি হলে তার দায়িত্ব নিতে হবে। এর আগে অবশ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে আসা ফুল বেঞ্চ আরও জানিয়ে দেয়, এবার এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাহায্য নেওয়া হবে। নিয়োগ করা হবে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে আজ ২২টি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বৈঠকও করেছে।

আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রশ্ন ওঠে, পশ্চিমবঙ্গের এই আমলাতন্ত্রে অবাধ ভোট হবে না। তখনই কমিশন থেকে জানানো হয়, এই শক্তিকে রোধ করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নজর রাখা হবে কালোটাকা ও অবৈধ টাকার লেনদেনের ওপর। প্রাক্‌ ও নির্বাচন-পরবর্তী  হিংসা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কমিশন জানিয়ে দেয়, এই হিংসা রোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ নাগরিকেরা যাতে কোনো অভিযোগ জানাতে পারে, সেই লক্ষ্যে ‘সিভিজিল’ অ্যাপ নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন নাগরিকেরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আরও বলেন, ‘আমরা চাই, উৎসবের মেজাজে এবার ভোট দিন ভোটাররা।’

রাজ্যে এবার ভোট গ্রহণের জন্য ৮০ হাজার বুথ থাকছে। এবার নতুন ভোটার হচ্ছে ১৫ লাখ ২৫ হাজার।