ভারতের বেকার তরুণেরা কোন মোহে এখনো মোদিকে সমর্থন করছেন

বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার হাতে নরেন্দ্র মোদিছবি: রয়টার্স

সঞ্জীব কুমারের বয়স ২৭। তিনি বেকার। তাঁর বাবা একজন গাড়ি বিক্রয়কর্মী। কয়েক বছরের মধ্যেই অবসরে যাবেন তিনি। তাঁর আসন্ন অবসর সঞ্জীবের জন্য ‘মরিয়া পরিস্থিতি’ তৈরি করেছে। খুব দ্রুত তাঁর একটা চাকরি চাই।

সঞ্জীবের বাড়ি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের রাজধানী পাটনায়। তিনি বিজনেস স্টাডিজে স্নাতক করেছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) ভোট দিয়েছিলেন তিনি। কারণ, তখন শাসক দল ও দলটির নেতা ভারতে বিপুলসংখ্যক নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একটি চাকরি পাওয়ার আশায় তখন বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন সঞ্জীব।

সঞ্জীব অবশ্য ভারতীয় রেলওয়েতে তথাকথিত ‘গ্রুপ ডি’ পদে চাকরির জন্য দুটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। ভারতে সরকারি খাতে কর্মসংস্থানের যে শ্রেণিবিন্যাস, তার সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে এই চাকরি। অবস্থান যেমনই হোক না কেন, এই চাকরির নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। আছে চাকরির নিরাপত্তা। ফলে এই চাকরি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয়।

সঞ্জীব দুটি পরীক্ষাতেই ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর ভাষ্য, প্রকৃতপক্ষে যত পদ আছে, তার তুলনায় অনেক কমসংখ্যক পদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।

সঞ্জীব আল-জাজিরাকে বলেন, তাঁর জন্য পরিস্থিতি এখন একটু কঠিনই হয়ে উঠছে। তাঁর বাবা শিগগিরই অবসরে যাবেন। তাই এখন তাঁর ওপর চাকরি পাওয়ার চাপ রয়েছে। তাঁরা একটি মধ্যবিত্ত পরিবার।

এখনো চাকরি না পেলেও সঞ্জীব চলমান লোকসভা নির্বাচনে আবার মোদির দল বিজেপিকেই ভোট দেবেন বলে জানান। বিহার ভারতের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য। এই রাজ্যের জনসংখ্যা ১০ কোটির বেশি। ভারতে সাত ধাপে লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুটি ধাপের নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয় ধাপের নির্বাচন আজ মঙ্গলবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সঞ্জীব আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা চাকরি পাচ্ছি না, এটা সত্য। কিন্তু অন্তত দেশ তো ভালো করছে।’

সঞ্জীবের রাজনৈতিক এই পছন্দ একটি বৃহত্তর বিষয়কে সামনে তুলে এনেছে। আর তা হচ্ছে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অনেক ভোটারের মধ্যে অসন্তোষ আছে। তবে এই অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী মোদির বিপুল জনপ্রিয়তাকে ‘স্পর্শ’ করতে পারছে বলে মনে হয় না।

নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস) এবং এর সহযোগী সংস্থা লোকনীতি প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতীয় ভোটারদের উদ্বেগের শীর্ষে আছে মুদ্রাস্ফীতি ও চাকরির অভাব।

১০ হাজার ভোটারের ওপর সমীক্ষাটি করা হয়। উত্তরদাতাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬২ শতাংশ) বলেছেন, চাকরি পাওয়াটা পাঁচ বছর আগের তুলনায় এখন কঠিন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মাত্র ১২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, চাকরি পাওয়া সহজ।

মূল্যস্ফীতি সম্পর্কেও প্রায় একই ধরনের মতামত সমীক্ষায় উঠে এসেছে। উত্তরদাতাদের ৭১ শতাংশ বলেছেন, গত পাঁচ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।

তবে একই সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, মোদির প্রতি ভোটারদের বিশ্বাস অনেকাংশেই অটুট আছে। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা বর্তমান নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেবেন।

ভোটার ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখানে অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন মোদির অধীন ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানের ক্রমবর্ধমান উন্নতি হয়েছে বলে ভোটারদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে। অনেকের মধ্যে এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে বর্তমান সরকার আগের সরকারগুলোর তুলনায় কম দুর্নীতিগ্রস্ত, তা ছাড়া বিজেপি সরকার তার ভাবমূর্তি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সতর্ক। এখানে বিজেপির ধর্মভিত্তিক রাজনীতিরও একটা ভূমিকা আছে।

উন্নত ভারত স্ট্যাটাস

যেসব প্রতিশ্রুতি ২০১৪ সালে মোদিকে ক্ষমতায় এনেছিল, তার মধ্যে প্রতিবছর ২ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাটা ছিল সবচেয়ে আলোচিত। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারত। দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশির বয়স ৩০ বছরের নিচে। মোদির এই প্রতিশ্রুতি দেশটির ভোটারদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছিল।

এমন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মোদির শাসনামলে ভারতে বেকারত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যদিও ভারত বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ।

ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ও ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট চলতি বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ভারতের বেকার জনসংখ্যার ৮৩ শতাংশই তরুণ। তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশ মাধ্যমিক বা তার চেয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী।

ভারত সরকার অবশ্য ‘তথ্যের অসংগতির’ অভিযোগ তুলে এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

অবশ্য মোদি সরকার গত বছর স্বীকার করেছে, বিভিন্ন সরকারি বিভাগে প্রায় ১০ লাখ পদ খালি রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯০ হাজার পদ শুধু রেলওয়েতেই ফাঁকা।

চলমান লোকসভা নির্বাচনে ভারতে বিশেষ করে বিহারের অনেক তরুণ-তরুণীর ক্ষেত্রে বেকারত্বের সমস্যাটি মোদির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট জোরালো কারণ নয়। অথচ, ভারতের বড় বড় রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র বিহার।

বিহারের তরুণ সঞ্জীব বলেন, ‘মোদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের মর্যাদা উন্নত করেছেন, যা প্রকৃতপক্ষে আমাদের আরও চাকরি পেতে সাহায্য করবে।’

সঞ্জীব আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি, টেসলা ভারতে বিনিয়োগ করতে চায়। কারণ, মোদি দেশে সহজে ব্যবসা করার সুবিধা দিয়েছেন।’

যদিও টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক সম্প্রতি তাঁর ভারত সফর স্থগিত করেছেন। তবে তিনি এর পরপরই চীন সফর করেছেন।

সঞ্জীবের ভাষ্য, মোদি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে দুটি বড় কাজ করেছেন। প্রথমত, অযোধ্যায় হিন্দু দেবতা রামের নামে একটি মন্দির নির্মাণ করেছেন। দ্বিতীয়ত, মুসলমানদের ক্ষেত্রে ‘তিন তালাক’ প্রথা বিলুপ্ত করেছেন তিনি। দুটি বিষয়ই বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে।

গত জানুয়ারিতে মোদি রাম মন্দির উদ্বোধন করেন। ১৬ শতাব্দীতে সেখানে বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। স্থানটিকে রামের জন্মস্থান দাবি করে ১৯৯২ সালে উগ্রপন্থী হিন্দু জনতা মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয়।

গত শতকের আশির দশকে রাম মন্দিরের জন্য একটি জনতুষ্টিবাদী ও মেরুকরণের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। মূলত এই আন্দোলনই বিজেপিকে ভারতের রাজনৈতিক মূলধারায় নিয়ে আসে।

অন্যদিকে, মোদির সরকার ২০১৯ সালে ‘তিন তালাক’ নিষিদ্ধ করে একটি আইন পাস করে।

ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে ‘তিন তালাক’ প্রথার চর্চা বিরল। তবে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে এই নিষেধাজ্ঞাকে তাঁদের ধর্মীয় স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের ওপর আরেকটি আঘাত হিসেবে দেখেন।

সঞ্জীব অবশ্য নিষেধাজ্ঞাকে ভিন্নভাবে দেখেন। তিনি আল–জাজিরাকে বলেন, লোকজন বলে যে এই সরকার মুসলিম ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে। কিন্তু মোদি তিন তালাকের মতো প্রথা বন্ধ করে মুসলিম নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ব্যাপারে কী বলবেন? এমন প্রশ্নে সঞ্জীব বলেন, ভারতে মুসলমানদের ধর্ম পালনে কেউ বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু যদি অতীতে মুসলিম শাসকেরা মন্দির ভেঙে সে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করে থাকেন, তাহলে বিষয়টির সংশোধন দরকার। মোদি হিন্দুদের বিরুদ্ধে করা ৫০০ বছরের পুরোনো ভুল সংশোধন করেছেন।

‘মোদির গ্যারান্টি’

বিহারের অন্য যেসব বেকার তরুণদের সঙ্গে আল–জাজিরা কথা বলেছে, তাঁরা মোদির প্রতি তাঁদের সমর্থনের কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করেন। যেমন পূর্ববর্তী সরকারগুলোর তুলনায় মোদি সরকারের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, কথিত ডিজিটাল বিপ্লবের ওপর বিজেপি সরকারের গুরুত্ব ও ভারতের বর্তমান আন্তর্জাতিক অবস্থান।

সঞ্জীবের মতো ২৭ বছর বয়সী আমান গুপ্তাও একটি সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে তিনি কোনো চাকরি জোটাতে পারেননি। তবুও তাঁর বিশ্বাস, একমাত্র মোদিই ভারতকে একটি বৈশ্বিক শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারবেন।

আমান বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ভারতকে একটি উদীয়মান পরাশক্তি হিসেবে দেখছে বিশ্ব। যদিও চীন ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তা সত্ত্বেও বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি শুনেছেন, জাতিসংঘ মোদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে বলেছে।

রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে ভারতের। এমন কথাও বলা হচ্ছে যে প্রতিবেশী ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের ইতি টানার আলোচনায় ভারত সহায়তা করতে পারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যুদ্ধ শুরু হয়। সংঘাতের শুরু থেকেই কোনো পক্ষকে সমর্থন না দেওয়ার নীতি অনুসরণ করছে নয়াদিল্লি।

আমান আরও বলেন, ভারতের ভেতরেও মোদি তাঁর আস্থা অর্জন করেছেন।

মোদির অবদানের কথা বলতে গিয়ে আমান ভারতের প্রান্তিক লোকজনের কাছে সরাসরি সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। ভারতীয় সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষকে কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার এই সুবিধা দিয়ে আসছে।

আমান বলেন, মানুষ তাদের ব্যাংক হিসাবে নগদ অর্থ পাচ্ছে। সরকার তরুণদের ব্যবসা শুরুর জন্য স্বল্প সুদে ঋণও দিচ্ছে।

নয়াদিল্লির সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের জ্যেষ্ঠ ফেলো নীলাঞ্জন সরকার বলেন, সিএসডিএস-লোকনীতি পরিচালিত সমীক্ষায় অর্থনৈতিক দুর্দশার বিষয়ে মানুষের উদ্বেগের দিকটি উঠে এলেও বিজেপির ‘মোদি ব্র্যান্ড’ দলটিকে যেকোনো বড় পরিণতি এড়াতে সাহায্য করেছে।

নীলাঞ্জন সরকার বলেন, সব রাজনৈতিক কৃতিত্ব মোদির ওপর কেন্দ্রীভূত করার একটা চেষ্টা বিজেপির মধ্যে লক্ষণীয়। বিজেপি তার প্রচারে দলটির প্রতিশ্রুতিকে ‘মোদির গ্যারান্টি’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে।

নীলাঞ্জন সরকার আল–জাজিরাকে বলেন, এটি একটি দলের এমন এক কৌশল, যেখানে দলীয় নেতা অন্ধ আনুগত্যভিত্তিক ‘কাল্ট’ ব্যক্তিত্ব। আর নেতার বাহন হলো তাঁর দল।

নীলাঞ্জন সরকার বলেন, আর্থিক দুরবস্থা হোক বা মণিপুরের সহিংসতার মতো সমস্যাই হোক, মোদির ওপর সরাসরি কালিমা এসে পড়েনি। লোকজন বিজেপির অন্য নেতাদের দোষারোপ করতে পারে। পরিণতি হিসেবে আঞ্চলিক নির্বাচনে ভোটারেরা বিজেপিকে ভোট নাও দিতে পারে। কিন্তু এটা মোদির ওপর ক্ষোভ নয়।

গত এক বছরে মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যদিও মণিপুরের ক্ষমতায় আছে বিজেপি, তা সত্ত্বেও সহিংসতা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেই রাজ্যে যাননি মোদি।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্রচূড় সিং বলেন, বিরোধীরা অর্থনৈতিক মন্দাকে একটি বড় নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে উত্থাপন করেও জনগণকে কাছে টানতে পারেনি।

চন্দ্রচূড় সিং আল–জাজিরাকে বলেন, বিরোধীদের সমস্যা হলো, ভিন্নমতের বিভিন্ন দল একত্রিত হয়েছে। যাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা হলো মোদিকে পদচ্যুত করা। কিন্তু জনগণ বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছে বলে মনে হয় না।

চন্দ্রচূড় সিং বলেন, বিরোধীরা মোদির বিরুদ্ধে কোনো ‘মুখ’ উপস্থাপন করেনি। সেটিও একটি সমস্যা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ধীরে ধীরে সেই নেতা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। কিন্তু উপলব্ধির দিক থেকে তিনি এখনো মোদির চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন।

বিহারের তরুণ সঞ্জীবের কাছে ফিরে আসা যাক। তিনি বলেন, ‘আমরা আর কাকে ভোট দিতে পারি, সেটাও একটা বিষয়। একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধী ঠিক আছেন। কিন্তু আমি তাঁকে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে দেখি না। মোদির মতো নেতৃত্বের দক্ষতা তাঁর নেই।’

বিহারের আরেক তরুণ আমান বলেন, বিরোধীরা কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পূরণ করার সক্ষমতা তাদের আছে বলে তিনি মনে করেন না। বিরোধীদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা হচ্ছে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। অন্য সব কিছুই গৌণ বলে মনে হয়।