লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনে তুমুল লড়াই হবে, এগিয়ে থাকবে তৃণমূল: সমীক্ষা

লোকসভা নির্বাচনফাইল ছবি

লোকসভা নির্বাচনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনে এ বছর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে সামান্য ভোটে এগিয়ে থাকবে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। আজ শনিবার সি-ভোটার ও এবিপি আনন্দের যৌথ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে এমন আভাস দেওয়া হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে তৃণমূল ও বিজেপি এবার একটি করে আসনে এগিয়ে থাকতে পারে। গত নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ২২টি আসন। এবার বেড়ে হবে ২৩টি। বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। বেড়ে হবে ১৯টি। কংগ্রেস ২টি আসন পেলেও এবার থাকছে শূন্য। বাম দলও শূন্য।

সমীক্ষায় এ কথাও বলা হয়েছে, তৃণমূল পেতে পারে ৪২ শতাংশ আর বিজেপি পেতে পারে ৪১ শতাংশ ভোট। তবে এই হিসাব ওলট–পালট হতে পারে আগামীর নির্বাচনের প্রচারকে ভিত্তি করে।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, অনেক আগের সমীক্ষা এটি। এখন পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। তৃণমূলের প্রচারে ঝড় উঠবে। তৃণমূল ত্রিশের বেশি আসন পাবে।

তবে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বিজেপির আসনসংখ্যা চব্বিশের পর থেকে গুনতে হবে। এর আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও সমীক্ষায় বিজেপিকে পিছিয়ে রাখলেও ফল কিন্তু সেভাবে হয়নি। সেসব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

সমীক্ষায় এ কথাও বলা হয়েছে, ৩১ শতাংশ মানুষ মোদির কাজে খুব সন্তুষ্ট। ৪৪ শতাংশ মানুষ অত্যন্ত সন্তুষ্ট। মোটামুটি সন্তুষ্ট ৩৫ শতাংশ মানুষ। অসন্তুষ্ট বলেছে ২০ শতাংশ উত্তরদাতা।

পাশাপাশি মমতা সরকারের কাজ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ২৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। খুব সন্তুষ্ট বলেছেন ৩২ শতাংশ। আর মোটামুটি সন্তুষ্ট বলেছেন ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা। আর অসন্তুষ্ট বলেছেন ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা।

সন্দেশখালীর ঘটনা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, হ্যাঁ। ৩২ শতাংশ উত্তরদাতা নেতিবাচক উত্তর দিয়েছেন। বলতে পারেননি ২৪ শতাংশ উত্তরদাতা।

আবার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে পছন্দ করছেন—এ প্রশ্নের জবাবে ৬৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন নরেন্দ্র মোদিকে। ২৮ শতাংশ ভোটর পছন্দ করছেন রাহুল গান্ধীকে। ৪ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা এই দুজনের কাউকেই চান না।

অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠায় কি কোনো অতিরিক্ত ফায়দা নিতে পারবে বিজেপি—এ প্রশ্নের জবাবে ৫৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন ‘হ্যাঁ’ আর ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন ‘না’। ১১ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না।