যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ে ছাত্রের মৃত্যু: ৪ জনকে আজীবন বহিষ্কার, ৬৬ জনকে শাস্তির সুপারিশ

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং করে এক ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার এবং ৬৬ জনকে বিভিন্ন পর্যায়ের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি আজ মঙ্গলবার তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করে। প্রতিবেদনটি আজ বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ১৩ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ৯ আগস্ট রাতে যাদবপুরের নবাগত এক ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুকে হোস্টেল ভবন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এ নিয়ে অশান্ত হয়ে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ, ওই হোস্টেলে এখনো বহু প্রাক্তন ছাত্র জোর করে থাকেন। তাঁরাই হোস্টেলে এসব কর্মকাণ্ড করেন।

নদীয়ার ছেলে স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডু এ বছর ভর্তি হন বাংলা বিভাগে। হোস্টেলে সিট না পেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের ৬৮ নম্বর কক্ষে বিশেষ ব্যবস্থায় গেস্ট হিসেবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। আর এ ব্যবস্থা করে দেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত নিয়ে পাস করা প্রাক্তন শিক্ষার্থী সৌরভ চৌধুরী।

মাত্র দুদিন ক্লাস করেছিলেন স্বপ্নদ্বীপ। স্বপ্নদ্বীপের পরিবারের অভিযোগ, ৯ আগস্ট রাতেই স্বপ্নদ্বীপ র‌্যাগিংয়ের শিকার হন। সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল ছাত্র স্বপ্নদ্বীপকে র‌্যাগিং করেন। তাঁকে একটি কক্ষে আটকে রেখে অশালীন অত্যাচার করেন ওই ছাত্ররা।

অভিযোগ, পরে তাঁকে তিনতলার ব্যালকনি থেকে ফেলে দিলে গুরুতর আহত হন ওই ছাত্র। এখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরদিন তিনি মারা যান। অভিযোগ, স্বপ্নদ্বীপকে উদ্ধার করা হয় বিবস্ত্র অবস্থায়।