বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গে দুই ‘জঙ্গি’ গ্রেপ্তার

বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেছবি: সংগৃহীত

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটনকেন্দ্র নিউ দীঘার একটি হোটেল থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মুসাফির হোসেন সাজিব ও আবদুল মতিন আহমেদ তাহা। এর মধ্যে মতিনকে ওই ঘটনার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে ভুয়া আধার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়েছিলেন বলে সূত্র জানায়।

আজ শুক্রবার মুসাফির ও মতিনকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ বিচারকের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁদের জন্য চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এই চার দিনের মধ্যে তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঘটনাস্থল বেঙ্গালুরুতে স্থানান্তর করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই দুই ব্যক্তি জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা বেঙ্গালুরু থেকে পালিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ও দীঘা এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের একজন মতিন আহমেদ তাহা
ছবি: সংগৃহীত

গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই বিস্ফোরণে আহত হন ১০ জন। বিস্ফোরণের পর ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের একজন মোজাম্মেল শরিফ ২৬ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পরে দুই ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ রুপি করে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় এনআইএ।

এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ঘটনার পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য অভিযোগ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমল থেকে পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস ও বাম দলের নেতাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ এখন জঙ্গিদের অন্যতম নিরাপদ ঘাঁটি হয়ে উঠছে। আর এই উত্থানের পেছনে রয়েছে রাজ্যের মমতা সরকার ও দিল্লির বিজেপি সরকার।