হরিয়ানার সাবেক বিধায়ককে গুলি করে হত্যা, ‘খবর ছড়িয়ে দিতে’ ভাতিজাকে ছেড়ে দেয় খুনিরা
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সাবেক বিধায়ক নাফে সিং রাঠিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাজ্যের ঝাজ্জার জেলায় এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় তাঁর ভাতিজা রাজেশও সঙ্গে ছিলেন।
নাফে সিং দুই মেয়াদে হরিয়ানার বিধায়ক ছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) রাজ্যপ্রধান। ঘটনার সময় তিনি একটি গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। হামলাকারীরা যখন গুলি করে, তখন রাজেশ সামনের আসনে বসা ছিলেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাফে সিং রাঠির হত্যাকারীরা রাজেশকে বলেছেন, তিনি যেন বাড়িতে গিয়ে সবাইকে ঘটনা সম্পর্কে বলতে পারেন, সে জন্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে এজাহার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সাবেক বিধায়ক নরেশ কৌশিক, রমেশ রাঠি, সতীশ রাঠি ও রাহুল। তবে এখন পর্যন্ত হরিয়ানার পুলিশ তদন্তে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পায়নি।
তবে খুনি ও তাদের ব্যবহৃত গাড়ির নিবন্ধন নম্বর যাচাই করতে সোমবার ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছে পুলিশ। এতে ঘটনাস্থলের কাছেই চারজন সন্দেহভাজনকে একটি গাড়িতে করে যেতে দেখা গেছে।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আইএনএলডি নেতা অভয় চৌতালা বলেছেন, রাঠিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হলেও রাজ্য সরকার তাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনীল ভিজের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (সিবিআই) দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভয় চৌতালা। তিনি সংবাদিকদের বলেন, ‘দুবারের বিধায়ক ও আমাদের দলের রাজ্যপ্রধানকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। তাঁকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে রাজ্যের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল।...মাস ছয়েক আগে রাঠি আমাকে বলেছিলেন, প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে তিনি বিষয়টি পুলিশ সদস্যদের জানিয়েছিলেন।...পরে ঝাজ্জার জেলার পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছি...। তিনি (এসপি) কি তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলেন?’