‘মানব ক্যালকুলেটর’-এর এক দিনে ছয় রেকর্ড

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদ হাতে আরিয়ান শুক্লাছবি: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে

বড় বড় যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করতে আমরা সাধারণত ক্যালকুলেটরের সাহায্য নিই। ১৪ বছরের কিশোর আরিয়ান শুক্লার সেসবের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, আরিয়ান মুখে মুখেই ক্যালকুলেটরের চেয়েও দ্রুতগতিকে করে ফেলতে পারে বড় বড় সব হিসাব।

আরিয়ানের বাড়ি ভারতের মহারাষ্ট্রে। এই কিশোর এক বছর আগে তার প্রথম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়েছিল। সেবার সে ইতালির একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে পাঁচ অঙ্কের করে ৫০টি সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে মুখে মুখে যোগ করেছিল। সে এ জন্য মাত্র ২৫ দশমিক ১৯ সেকেন্ড সময় নিয়েছিল।

বিষয়টি যাচাই করে দেখতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আরিয়ানকে দুবাই ডেকে পাঠায়। সেখানে গিয়ে আরিয়ান একটি নয়, বরং ছয়টি রেকর্ড গড়ে, তা–ও আবার এক দিনে।

গতকাল বৃহস্পতিবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে আরিয়ানের রেকর্ড গড়া নিয়ে খবর প্রকাশ পায়।

সে মাত্র ৩০ দশমিক ৯ সেকেন্ডে চার অঙ্কের ১০০টি সংখ্যার যোগ, ১ মিনিট ৯ দশমিক ৬৮ সেকেন্ডে চার ডিজিটের ২০০টি সংখ্যার যোগ, ১৮ দশমিক ৭১ সেকেন্ডে পাঁচ ডিজিটের ৫০টি সংখ্যার যোগ, ৫ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে ২০ ডিজিটের একটি নম্বরকে ১০ ডিজিটের একটি নম্বর দিয়ে ভাগ করে এবং দুটি পাঁচ ডিজিটের সংখ্যাকে ৫১ দশমিক ৬৯ মিনিটে গুণ করে ফেলে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আরিয়ানের নাম দিয়েছে ‘মানব ক্যালকুলেটর’। তারা আরও বলে, প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে এবং নিজের মস্তিষ্কে শান দিতে আরিয়ান দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা অঙ্ক (মেন্টাল ম্যাথ) করে।

আরিয়ান মনে করে, কোনো প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রতিদিন অনুশীলন করা অত্যন্ত গুরুপূর্ণ।

কীভাবে ছেলেটি সংখ্যা গণনায় এতটা পারদর্শী হয়ে উঠল, কোথা থেকে তার ভেতরে এ দক্ষতার জন্ম হলো, তা জানেন না আরিয়ানের বাবা। অঙ্ক করার পাশাপাশি দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতে চায় আরিয়ান।