অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা গ্রেপ্তার
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের দাপুটে নেতা ও বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানী দিল্লিতে সুকন্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গরু পাচার মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে গত আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। এখন তিনি রয়েছেন দিল্লির তিহার কারাগারে।
ইডি জানতে পারে, গরু পাচার মামলার প্রচুর অর্থ সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাংক হিসাবে চলে গেছে। তাই ইডি তদন্ত করে জানতে পারে, গরু পাচার মামলার বিরাট একটা অংশ সুকন্যার কাছে রয়েছে। এই টাকা দিয়ে তিনি সম্পত্তি কিনেছেন, প্রচুর টাকা ব্যাংকে রেখেছেন। তাই ইডি সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুকন্যাকে তিনবার তলব করলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে হাজিরা এড়ান। এরপরই তাঁকে চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, এবার না এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরপরই গতকাল দুপুরে সুকন্যা হাজির হন দিল্লির ইডি দপ্তরে। ইডি জানতে চায়, তিনি একজন স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন কীভাবে? এসব প্রশ্ন এড়াতে চাইলে ইডি তার ওপর চাপ দিলে সুকন্যা জানিয়ে দেন, তাঁর বাবার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি সব বিষয় বলতে পারবেন।
হিসাবরক্ষক তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে এসব হিসাব রাখতেন। এখন সেই হিসাবরক্ষক গ্রেপ্তার হয়ে তিহার কারাগারেই আছেন। ইডির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সুকন্যা অসহযোগিতা করতে থাকলে ইডি গতকাল রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে হাজির করা হবে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ বিশেষ আদালতে।
এদিকে ইডি তদন্তে নেমে জানতে পারে সুকন্যা মণ্ডল নিজেই দুটি কোম্পানির মালিক। ওই দুই সংস্থার নামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে প্রচুর।
রয়েছে তাঁর বিপুল পরিমাণ অর্থের ফিক্সড ডিপোজিট। ইডি দাবি করেছে, মণীশকে গ্রেপ্তারের পর সুকন্যার সম্পত্তির হদিস পায় ইডি। ইডি সূত্রে এ কথাও বলা হয়েছে, গরু পাচারের টাকা কীভাবে খরচ হবে, কী সম্পত্তি কেনা হবে ইত্যাদির বিষয় সিদ্ধান্ত নিতেন সুকন্যা নিজেই। কারণ, গরু পাচারের টাকা দেওয়া হতো নগদে।