পশ্চিমবঙ্গে দিনদুপুরে দুটি অলংকারের দোকানে ডাকাতি

হাওড়ার ডোমজুড়ে ডাকাতি হওয়া অলংকারের দোকানে আলামত সংগ্রহ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাছবি: ভাস্কর মুখার্জি

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুটি নামী অলংকারের দোকানে দিনদুপুরে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাত দল ওই দুই দোকানের সব স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। বর্ধমানের রানীগঞ্জে এবং হাওড়ার ডোমজুড়ে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

গত বছরের ২৯ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট ও পুরুলিয়ার সেনকো জুয়েলারি দোকানে ভয়াবহ ডাকতি ঘটনা ঘটে। রোববারও দিনদুপুরে বর্ধমানের রানীগঞ্জের সেই সেনকো জুয়েলারিতেই আবার ডাকাতি হয়েছে।

মালিকপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার ডাকাত আসানসোল থেকে একটি গাড়ি ছিনতাই করে। ওই গাড়ি নিয়ে দুপুরের দিকে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারিতে ডাকাতি করে। দোকানের সব কর্মীকে বেঁধে রেখে ডাকাত দল দোকানের সব স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে এক ডাকাত সদস্য আহত হয়। এরপরও ডাকাত দল ব্যাগে ভরে স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করে পুলিশ ছিনতাই করা গাড়িটি আটক করে। কিন্তু গুলিবদ্ধ একজনসহ তিন ডাকাত পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। পুলিশ সুরুজ কুমার সিং নামের এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জেরা করে পুলিশ বেশ কিছু স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে।

এদিকে আহত ডাকাত সদস্যকে মঙ্গলবার সকালে ঝাড়খন্ডের ধানবাদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সোনু সিং নামের ওই ডাকাত সদস্যকে ধানবাদ থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়ার ডোমজুড়ে আরেকটি অলংকারের দোকানে ডাকাতি হয়। এমএস জেমস অ্যান্ড জুয়েলার্স নামের ওই অলংকার দোকানে ক্রেতা সেজে চার ডাকাত ঢুকে পড়ে। বিক্রির উদ্দেশ্যে দোকানের কর্মীরা অলংকার বের করে দেখাতে থাকলে, ওই চার ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তাঁদের দোকানের মধ্যে বেঁধে ফেলে। পরে দোকানে রাখা সব স্বর্ণালংকার লুট করে করে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, মুখ খোলা থাকলেও মাথায় হেলমেট ছিল ডাকাতদের। তারা হিন্দিতে কথা বলছিল। পুলিশের ধারণা, এই চার ডাকাত পাশের ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে এসেছে। এর আগে রানাঘাট, পুরুলিয়া ও রানীগঞ্জেও ডাকাতেরা এসেছিল ঝাড়খন্ড থেকে।