পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফল বাতিলের দাবিতে মামলা ৪ বিজেপি প্রার্থীর
এবারের লোকসভা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিজেপির চার পরাজিত প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে পৃথক চারটি নির্বাচনী মামলা করেছেন গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার। চারটি মামলাই গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
মামলায় আবেদনকারীরা অভিযোগ করে বলেছেন, এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, সন্ত্রাস, জাল ভোট এবং তথ্য গোপন করে তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আবেদনকারীরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে ওই চার আসনের ফল বাতিল করা হোক।
বিজেপির এই পরাজিত চার প্রার্থী হলেন কোচবিহারের সাবেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, বসিরহাটের সন্দেশখালী আন্দোলনের নেত্রী রেখা পাত্র, ঘাটালের অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও আরামবাগের অরূপ কান্তি দিগর।
তাঁরা হাইকোর্টে পৃথক আবেদনে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে দাবি করেছেন, তাঁদের জোর করে পরাজিত করানো হয়েছে। তাই তাঁরা অবিলম্বে ওই চার আসনের নির্বাচন বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। এই চার আসনে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা হলেন কোচবিহারে জগদীশ চন্দ্র বর্মা, বসিরহাটে হাজি নুরুল ইসলাম, আরামবাগে মিতালি বাগ এবং ঘাটালে অভিনেতা দেব।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার মামলা করেছেন আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপ কান্তি দিগর। তাঁর অভিযোগ, কারচুপি করে ভোট গণনায় মিতালি বাগ অল্প ভোটে জিতে যান। এই ভোট গণনায় তিনি ব্যাপক কারচুপির আশ্রয় নেন।
একইভাবে বসিরহাটের রেখা পাত্র অভিযোগ করেছেন, তাঁর আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক সন্ত্রাস ও কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। প্রতিপক্ষ নির্বাচনী বিধি অমান্য করে মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে ‘নো ডিউজ সার্টিফিকেট’ জমা দেয়নি।
অথচ এই সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার কারণে বীরভূম আসনের বিজেপি প্রার্থী ও সাবেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা দেবাশীষ ধরের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কোচবিহার ও ঘাটাল আসনে সরকারি দলের ব্যাপক সন্ত্রাস, ভোট কারচুপি, জাল ভোট, বুথে ঢুকতে না দেওয়া ইত্যাদি কারণে তাঁদের প্রার্থীদের পরাজিত করা হয়েছে।
এবার পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার ৪২ আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১২টি ও তৃণমূল জিতেছে ২৯টি আসনে। কংগ্রেস জিতেছে মাত্র ১টি আসনে। অথচ ২০১৯ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ১৮টি আসনে। তৃণমূল ২২টি ও কংগ্রেস ২টি আসনে। বাম দল কোনো আসন পায়নি।