মোদির অরুণাচল সফর সীমান্ত সমস্যাকে আরও জটিল করবে: চীন

এই সেলা টানেল উদ্বোধন করতে ৯ মার্চ অরুণাচল প্রদেশে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিছবি: এএনআই

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক অরুণাচল সফর দুই দেশের সীমান্ত সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলবে বলে জানিয়েছে চীন। সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গতকাল সোমবার ওই প্রসঙ্গে বলেন, তাঁরা এই বিষয়ে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চীন-ভারত সীমান্তের পূর্বাঞ্চলে (অরুণাচল প্রদেশ) ভারতীয় নেতাদের সফরের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।

ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘জাংজান এলাকা (অরুণাচল প্রদেশ) চীনের অংশ। চীন কখনো ওই অংশকে ভারতের বলে স্বীকৃতি দেয়নি। বরাবর দৃঢ়ভাবে তার বিরোধিতা করেছে। ওই এলাকায় যথেচ্ছ স্থাপনার কোনো অধিকারও ভারতের নেই। এই পদক্ষেপ সীমান্ত প্রশ্নকে জটিলতর করবে।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল চীনের এই প্রতিবাদের জবাব দিয়েছেন। চীনের প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় নেতাদের অরুণাচল সফরের বিরোধিতা করার কোনো যৌক্তিকতাই চীনের নেই। অন্যান্য প্রদেশে ভারতীয় নেতারা যেমন যান, ঠিক সেভাবে অরুণাচলেও যান। সেখানে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিরোধিতার কোনো কারণই চীনের থাকতে পারে না। তা ছাড়া এই জাতীয় আপত্তির কারণে বাস্তবতারও কোনো পরিবর্তনও হবে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং থাকবেও। চীনকে বারবার সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অরুণাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় সেখানে ৮২৫ কোটি রুপিতে তৈরি ‘সেলা টানেল’-এর উদ্বোধন করেন তিনি। ওই টানেল নির্মাণের ফলে চীন-অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের অগ্রবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম অতি দ্রুত নেওয়া সম্ভব হবে। তাওয়াংয়ের সঙ্গেও সব মৌসুমে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হবে।

ওই উচ্চতায় দুই লেনের ওই টানেল বিশ্বে সর্ববৃহৎ। আসামের তেজপুর থেকে যাওয়া ওই সড়ক সামরিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চীন বরাবরই অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে স্পর্শকাতর। তাদের কাছে এই রাজ্যটি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। যতবার ভারতীয় নেতারা সেখানে যান, প্রতিবারই চীন প্রতিবাদ জানায়। তারা ওই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের নামও তাদের মতো করে রেখেছে। ভারত অবশ্য কখনো তাদের আপত্তিকে আমল দেয় না।