ত্রিপুরায় ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে

ত্রিপুরার নির্বাচনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। গতকাল বৃহস্পতিবার এ নির্বাচন হয়
ছবি: এএনআই

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরার নির্বাচনে অনেক রাত পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলার কারণে ভোটের হার ৯০ শতাংশের বেশি হতে পারে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা কিরণ গীতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। রাত ১১টাতেও অনেক কেন্দ্রে ভোট চলেছে বলে জানা গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত ভোট চলার কারণে চূড়ান্ত হার এখনো জানা যায়নি। তবে নির্বাচনী কর্মকর্তারা মনে করছেন, ত্রিপুরা নির্বাচনে এবারে রেকর্ডসংখ্যক ভোট পড়বে। রাজ্যে ২০১৩ সর্বোচ্চ ভোটের হার ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ। এবারে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা কিরণ গীতে বলেন, ত্রিপুরা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের দুটি লক্ষ্য ছিল। সেগুলো হলো—ভোটের হার বাড়ানো এবং কোনো বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা হতে না দেওয়া। দুটিতেই তাঁরা সফল বলে জানিয়েছেন গিতে। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর বাদ দিলে ভোট নির্বিঘ্ন হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। গতকালের নির্বাচনে কিছু জায়গা থেকে সহিংসতার খবর পাওয়া গেলেও নির্বাচনে কেউ মারা না যাওয়ায় ভোট পরিচালনব্যবস্থা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন।

ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকালের দিকে গোটা রাজ্যেই ইভিএম সুষ্ঠুভাবে কাজ না করার ফলে প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি হয়। বড় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে মানুষকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সম্ভবত সেই কারণেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।

ত্রিপুরায় এবার নির্বাচনী লড়াই হয়েছে চতুর্মুখী। এর মধ্যে আছে সিপিএম-কংগ্রেস জোট, ক্ষমতাসীন বিজেপি, তিপ্রা মথা এবং তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মূল লড়াই হবে সিপিএম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপির সঙ্গে, এমনটাই ধারণা নির্বাচনী বিশ্লেষকদের।

এরপর উত্তর–পূর্ব ভারতের আরও দুই রাজ্য নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন। ওই দুই রাজ্যেই গত সরকার রাজ্যের স্থানীয় দলের সঙ্গে মিলে চালিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এবারেও নাগাল্যান্ডে সেখানকার ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে জোট করে লড়ছে বিজেপি। মেঘালয় সেই জোর ভেঙে গিয়েছে এবং সেখানকার ক্ষমতাসীন দল ও বিজেপি পৃথকভাবে নির্বাচনে লড়বে।

আগামী ২ মার্চ একযোগে সব কটি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ভোট অনুষ্ঠিত, বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ