পশ্চিমবঙ্গে ইডির পর এবার হামলার শিকার এনআইএর কর্মকর্তারা

গ্রেপ্তার বলাইচন্দ্র মাইতি ও মনোব্রত জানাকে কলকাতায় সিটি সেশন কোর্টে হাজির করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, ০৬ এপ্রিলছবি: এএনআই

এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে হামলার শিকার হয়েছেন ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)–এর কর্মকর্তারা। এর আগে গত জানুয়ারিতে উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালীতে আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন ভারতের আর্থিক অনিয়মের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা।

২০২২ সালের একটি বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত করতে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ভূপতিনগরে যান এনআইএর কর্মকর্তারা। সেখানে গিয়ে হামলার শিকার হন তাঁরা।

এনআইএ মূলত সন্ত্রাস ও বিস্ফোরণ কাণ্ড তদন্ত করে থাকে। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বরের বিস্ফোরণে ভূপতিনগর থানার অর্জুন নগর গ্রামের একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন নামের তিনজন মারা যান। কলকাতা হাইকোর্ট ওই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয় এনআইএকে।

তদন্তের অংশ হিসেবে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বলাইচন্দ্র মাইতি ও মনোব্রত জানা নামের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় এনআইএ। তাঁরা দুজনই তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা। দুই দফায় তাঁদের এনআইএ দপ্তরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও হাজির না হলে গতকাল রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে ভূপতিনগরে যায় এনআইএর একটি প্রতিনিধিদল। তাঁদের গ্রেপ্তার করে ফেরার সময় ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ এনআইএর গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে এনআইএর এক কর্মকর্তা আহত হন। ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় এনআইএ।

এই ঘটনার পর ভূপতিনগরে তৃণমূলের সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য দায়ী মমতাই।

এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, কেন মধ্যরাতে গ্রামে যাবে? মধ্যরাতে গ্রামে অচেনা মানুষ দেখলে যা হওয়ার কথা, তা–ই হয়েছে। এ ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুমকি দিয়ে বলেন, এবার দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হবে।